কলকাতা: সুন্দরবনের জলের স্তর নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করা হল । পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জলের স্তর বৃদ্ধি আগামী দিনে চিন্তার কারণ হতে চলেছে।
এই রিপোর্টে বলা হয়েছে সমুদ্রের জলের স্তর ৩-৮ মিলিমিটার বেড়ে যাবে। এর মূল কারণ পরিকল্পনাহীন ভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করা।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে সুনামির ফলেও জলের স্তর কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে সুন্দরবনের বেশ কিছু অংশ জলের তলায় চলে যাবে। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সাগর ব্লকের ঘোড়ামারা দ্বীপের জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কার কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিস্থিতি উত্তরণে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেবার প্রয়োজনের কথা এই রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য গত ২১ মার্চ সুন্দরবনে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ সরকারে প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাব কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ সহ ড. এফ এম রুহুল হক, মাহবুব আখতার গনি, গোলাম রব্বানি, টিপু সুলতান, নবি নেওয়াজ অহদিয়া চৌধুরী।
পশ্চিমবঙ্গের তরফে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জি সহ পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চিফ হুইপ শোভন দেব চ্যটার্জি, সুন্দরবন বিষয়ক মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা, বিরোধী দলের বিধায়ক সুভাষ নস্কর সহ সুন্দরবন এলাকার কয়েকজন বিধায়ক।
আলোচনায় দুই বাঙলার প্রতিনিধিরাই সুন্দরবনের বিশেষত্ব এবং গুরুত্ব বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। আলোচনায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফসল এই আয়োজন। ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় আমরা অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এখন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের নিমিত্ত এক ছাতার নিচে আসতে হবে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানোর বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ আশ্বাস দেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিদলের প্রধান বিমান ব্যনার্জি মুখ্যমন্ত্রী মাধ্যমে এই বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাবেন বলে জানান।
এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশপ্রেমীদের তরফে দুই দেশের সরকারকে এই নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০,২০১৫