আলিমুদ্দিন স্ট্রিট (কলকাতা) থেকে: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০১১- এর ফলাফল নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মার্ক্সিস্ট) পর্যালোচনা বৈঠক মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে মুজাফ্ফর আহমেদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের হামলার ঘটনায় ‘প্রতিরোধ নয়, বরং পথে নেমে প্রতিবাদ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিআইএম।
নির্বাচনের দিন দলের কয়েকজন নেতার সমালোচনা করে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় দলের জ্যেষ্ঠ নেতা রেজ্জাক মোল্লাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ভৎর্সনা’ করে ‘তিরস্কার’ করা হয়। সেইসঙ্গে তাকে গণমাধ্যমের সামনে মুখ না খোলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্র মোজাফ্ফর আহমেদ ভবনের বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন সন্ধ্যায় রেজ্জাক মোল্লা দলের হারের পেছনে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যসহ দলের হারের পেছনে কিছু নেতিবাচক মন্তব্য করেন।
সদ্য সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ১৬ হাজার ৭শ’ ভোটে পরাজয় সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘হেলে (নির্বিষ ছোট সাপ) ধরতে পারেন না, উনি গেছেন কেউটে ধরতে। ’
সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য রাজ্যের সদ্য সাবেক ভূমি রাজস্বমন্ত্রী নিরূপম সেন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ওটাই তো নাটের গুরু। ওটা যে হারবে তা তো দুনিয়ার আর্ধেক মানুষ জানতো। ’
রেজ্জাক মোল্লা এবার সিপিএম নেতাদের দলবেধে পরাজয়ের মধ্যেও নির্বাচিত হন। তিনি নিজের সম্পর্কে বলেন, ‘আমি তো চাষার ছেলে। তাই মানুষের কাছে যাই, কথা শুনি। ’
রেজ্জাক মোল্লা ‘হেলে ধরতে পারেন না ... গেছেন কেউটে ধরতে’ মন্তব্যটি কলকাতায় সিপিএমবিরোধী টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে কিছু সময় পরপর সুযোগ পেলেই প্রচার করা হচ্ছে। এটি নিয়ে কয়েক সেকেন্ডের ব্যঙ্গচিত্রও তৈরি করে তা প্রচার করছে কয়েকটি চ্যানেল।
এদিকে সিপিআই(এম)’র রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষে বামফ্রন্টের জ্যেষ্ঠ নেতারা বৈঠকে বসেন।
সিপিএমের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে পরাজয় ও পরবর্তী বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
সূত্র জানায়, ফল ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের দ্বারা দলের নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার হওয়ার বিষয়টি বৈঠকে আলোচিত হয়।
‘প্রতিরোধ নয়, বরং পথে নেবে প্রতিবাদ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিআইএম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১১