কলকাতা থেকে: বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানসহ দায়িত্বশীল পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন বামফ্রন্ট নেতারা। মৌখিক ওই নির্দেশের পরই গত কয়েক দিনে বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তর থেকে বামপন্থি মানসিকতার অনেকেই পদত্যাগ করেছেন।
আরও কয়েকজন রয়েছেন, যারা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে জানা যায়।
এ পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন, এমন তালিকায় রয়েছেন বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি ভাষাবিদ পবিত্র সরকার, বাংলা অ্যাকাডেমির সচিব সনৎ চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ আর্কাইভসের প্রধান অতীশ দাশগুপ্ত, নাট্য অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান মোহিত চট্টোপাধ্যায় ও সদস্য রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, উচ্চ শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুবিমল সেন, বন উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান অনন্ত রায়, সংখ্যালঘু উন্নয়ন সংস্থা ও খাদি গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান সাবেক এমপি মুহাম্মদ সেলিম, তপসিলি জাতি ও উপজাতি উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী যোগেশ বর্মন, নন্দনের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট পরিচালক তরুণ মজুমদার, গণমাধ্যম কেন্দ্রের উপদেষ্টা কবি কৃষ্ণ ধর, রাজ্য বিপণন পর্ষদের চেয়ারম্যান নরেন চট্টোপাধ্যায়, নবদিগন্তের চেয়ারম্যান সুব্রত সেন, রাজ্য সরকারের ইলেকট্রনিক ও টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার চেয়ারম্যান নিখিল রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়, স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির চেয়ারম্যান নিরঞ্জন সাহা, ভূতল পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান সাবেক এমপি সুধাংশ শীল, কলকাতা পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান রাজদেও গোয়ালা, সত্যজিত রায় স্টেট আর্কাইভসের কিউরেটর পার্থ রাহা, রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান মালিনী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
সিপিআই(এম) সূত্র জানায়, রাজ্যের বিভিন্ন পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের বলা হয়েছে, সরকার যেহেতু পরিবর্তন হয়ে গেছে, তাই আপানারাও পদ ছেড়ে দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মে ২০১১