ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

‘হাজারো মানুষের জনস্রোতে অবরুদ্ধ রাইটার্স’

কোনক্রমে পিছনের দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষে প্রবেশ মমতার

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১১
কোনক্রমে পিছনের দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষে প্রবেশ মমতার

রাইর্টাস বিল্ডিং(কলকাতা) থেকে: শপথ নেওয়ার পর কার্যভার গ্রহণের জন্য রাজ্যের সচিবালয় রাইটার্স বিল্ডিং-এ ঢোকার মুখে জনস্রোতে হারিয়ে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের নব মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর বিকেল ৪টা ১ মিনিটে রাজভবন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক পথ তিনি পায়ে হেঁটে রওনা দেন রাইটার্স বিল্ডিংয়ের দিকে।

তার আসার খবর পাওয়া মাত্রই হাজারো মানুষ ভিড় করেন এখানে। পুলিশের ব্যারিকেড জনতার প্রবল জনস্রোতে মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে যায়। সব কিছু চলে যায় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ বাইরে ।

এই বাধহীন উচ্ছ্বাসের চাপে পুলিশ কার্যত অসহায় পড়ে।

মাত্র ১ কিলোমিটার সড়ক পথটি পেরিয়ে অতিকষ্টে কোনরকমে মানব প্রাচীর করে মমতাকে নিয়ে পুলিশ রাইর্টাসের ভিআইপি প্রবেশ পথে। সময় তখন বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট।

তাকে একপলক দেখার জন্য রাইটার্সের সরকারি কর্মচারীরা প্রবেশপথে ভিড় করেন। এর ফলে তাকে প্রবেশপথে প্রথাগত ভাবে স্বাগত জানানো যায়নি। কোনওক্রমে সেখান থেকে তাকে ভিআইপি লিফটের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাইর্টাসের ভিতরে ততক্ষণে ঢুকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। প্রতিটি বারান্দায়, ভিআইপি লাউঞ্জে ভিড় করেছেন অনেক মানুষ। এর মধ্যে আছেন সরকারি কর্মকতারা, কর্মচারিরা সহ দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

ভিআইপি লিফট থেকে বাইরে বেরিয়ে আবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নিরাপত্তা কর্মীরা কোনক্রমে তাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষের লাগোয়া সম্মেলন কক্ষে ঢুকিয়ে দেয়। সেখান থেকে তিনি পিছনের দরজা দিয়ে তার কক্ষে প্রবেশ করেন। এই সময় তার সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও নবনিযুক্ত মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

তার কক্ষের বাইরে অপেক্ষারত রাজ্য প্রশাসনের প্রটোকল অফিসাররা এই ভিড়ের কারণে তাকে প্রথাগত ভাবে স্বাগত জানিয়ে কক্ষে নিয়ে যেতে পারলেন না।

বাইরে তখন অপেক্ষমান জনতা সুবজ আবীরে রাঙিয়ে তুলছেন একে অপরকে। সবাই চাইছেন একবার অন্তত তাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী রাইটার্সের বারান্দায় এসে জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।

অবশেষে, কক্ষের বাইরে ভিআইপি লাউঞ্জে থাকা রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের রূপকার ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তিতে মালা দেন এরপর রাইর্টাসের বারান্দায় এসে জনগণকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানালেন মা-মাটি-মানুষের নেত্রী।   হাত নাড়িয়ে বললেন, ‘আপনারা চলে যান এবার। ’

ভারতীয় সময়: ১৮০০ ঘন্টা, মে ২০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।