ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সংসদ নির্বাচন : এসএফআই’র বিপুল জয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৭ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১১

কলকাতা: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শুক্রবার সিপিএম’র ছাত্র সংগঠন এসএফআই বিপুলভাবে জয়ী হয়েছে। কলেজের ১৮টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই এসএফআই’র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।



পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের পর সিপিএম’র ছাত্র সংগঠনের এ জয় রাজ্য রাজনীতিতে এক নতুন চমক।

কলেজটিতে এসএফআই’র বিরুদ্ধে জোট বেধে লড়েছিল তৃণমূল ও অন্য বামবিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো। তবু এসএফআই’র জয়কে ঠেকানো যায়নি। সব আসনেই বিরোধী প্রার্থীদের পরাস্ত করে এসএফআই।

১৬টি আসনে জয়ের ন্যূনতম ব্যবধান ছিল ১২০ ভোটের। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবার পরেই উল্লাসে ফেটে পড়েন ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার সেøাগান ওঠে। এ কলেজের ছাত্র সংসদ গতবারও এসএফআই পেয়েছিল।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে এসএফআইয়ের বিপুল জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন সিপিআই (এম) রাজ্য কমিটির সদস্য জীবেশ সরকার।

তিনি বলেছেন,‘ছাত্রদের ওপর একটা লাগাতার মানসিক চাপ সৃষ্টি করে আসছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কিন্তু সমস্ত জয় ভীতিকে উপেক্ষা করে যেভাবে ছাত্ররা এসএফআই-কে জয়ী করেছে, তা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ছাত্র তথা গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। ’

কলেজের ছাত্রছাত্রীরা অভিনন্দন জানিয়েছেন এসএফআই দার্জিলিং জেলা কমিটির সম্পাদক সৌরভ দাস ও মেডিক্যাল কলেজের এসএফআই নেতা অনুরূপ সাহা।

তারা বলেন,‘ শিক্ষার অঙ্গনে নৈরাজ্য সৃষ্টির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। ’

অনুরূপ সাহা বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে সুষ্ঠু পঠনপাঠনের পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর এসএফআই। ’

এদিকে, কলকাতার নীলরতন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বয়েজ হোস্টেলে সিপিএমের দলীয় মুখপত্র গণশক্তি পত্রিকা রাখা বা পড়া যাবে না বলে তৃণমুলের ফতোয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে এসএফআই।

এসএফআই’র সর্বভারতীয় সম্পাদক ঋতব্রত সেনগুপ্ত বাংলানিউজকে বলেন,‘কোন স্বাধীন দেশে এভাবে সংবাদপত্র পড়ার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করাটা ফ্যাসিবাদী প্রচেষ্টা। মানুষের গণতন্ত্রে ওপর হস্তক্ষেপ। ’

উল্লেখ্য, হোস্টেলে বিভিন্ন সংবাদপত্র রাখা হয়। এর মধ্যে বেশ কিছু ছাত্র সিপিএমের দলীয় মুখপত্র গণশক্তি পত্রিকার গ্রাহক। বিধানসভা ভোটে বামফ্রন্টের পরাজয়ের পর কিছু ছাত্র প্রিন্সিপালের নাম করে গণশক্তি পত্রিকা রাখা ও পড়া যাবে না বলে নানারকম হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ।

এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হোস্টেলের রুমের বাইরে গণশক্তি পত্রিকা রাখা আছে দেখে একদল ছাত্র সেগুলি ছিঁড়ে ফেলে। পরে বৃহস্পতিবার সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রিন্সিপালকে স্মারকলিপি দেয়।

বাংলাদেশ সময় : ১২০৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।