ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরায় ফলছে জনপ্রিয় স্ট্রবেরি

সুদীপ চন্দ্র নাথ, আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
ত্রিপুরায় ফলছে জনপ্রিয় স্ট্রবেরি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আগরতল: ত্রিপুরার আবহাওয়াতে এখন চাষ হচ্ছে জনপ্রিয় ফল স্ট্রবেরি। রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তর থেকে চাষিদের এ ফল চাষের জন্য দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় পরামর্শ।



বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল স্ট্রবেরি। ফল হিসেবে যতটুকু না ব্যবহার হয়, এরচেয়ে অনেক গুন বেশি ব্যবহার হয় প্রক্রিয়াজাত অবস্থায়। মূলত আইসক্রিম, কেক-পেস্ট্রিসহ নানান প্রসাধনী সামগ্রীতে স্ট্রবেরির সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়।

মৌসুমী এ ফলটি মূলত শীতপ্রধান দেশগুলিতে চাষ হলেও বর্তমানে বিজ্ঞানভিত্তিতে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ অঞ্চলেও চাষ হচ্ছে। গত পাঁচবছর ধরে ত্রিপুরা সরকারের কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্যের পশ্চিম জেলার নাগিছড়া এলাকার কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যানে আবাদ হচ্ছে ফলটির।

কৃষি দপ্তরের সহ-কর্মকর্তা প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, শীতকালে ভালোই চাষ হচ্ছে। মূলত অক্টোবর মাসের শেষ ও নভেম্বর মাসের প্রথমে গাছের চারা লাগানো হয়। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে ফল সংগ্রহ শুরু হয়ে যায়। একটি গাছ থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়।

এপ্রিল মাসের পরও গাছে ফল ধরে তবে গরম কাল এসে গেলে ফলের আকার অত্যন্ত ছোট হয়ে যায়। গড়ে এক একটি স্ট্রবেরির ওজন ৩৫ গ্রাম হয়। এক মৌসুমে একটি গাছ থেকে ২৫০ গ্রাম থেকে ৩০০গ্রাম স্ট্রবেরি উৎপাদিত হয়।

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যানে স্ট্রবেরিগুলি সম্পূর্ণভাবে জৈব সার দিয়ে উৎপাদন করা হয়। সরকারিভাবে প্রতি কেজি স্ট্রবেরি ২শত ৫০রুপি দরে বিক্রি করা হয় বলেও জানান প্রদীপ ভট্টাচার্য। ফলের আকার নির্ভর করে মৌমাছির পরাগ সংযোগের উপর। মৌমাছিদের আকৃষ্ট করার জন্য বাগানে প্রচুর পরিমাণ সরিষা গাছ লাগানো হয়। সরিষা-ফুলের গন্ধে মৌমাছির দল বাগানে আসে ও স্টবেরিফুলে পরাগ সংযোগ করে যায়।

রাজ্যের কয়েকজন চাষি ইতোমধ্যে স্ট্রবেরি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। রাজ্যের চাষিদের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তরফে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয় বলেও জানান তিনি।

ত্রিপুরা রাজ্যে দিন দিন স্ট্রবেরির চাহিদা বাড়ছে। তাই এটি চাষের প্রতি কৃষকদের উৎসাহও বাড়ছে বলে জানান প্রদীপ ভট্টাচার্য।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।