কলকাতা: শনিবার (২৯ অক্টোবর) কলকাতা তথা গোটা পশ্চিমবঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে কালী পুজা। বিভিন্ন মন্দির, বাড়ি এবং বহু বারোয়ারি ক্লাব কালী পুজার আয়োজন করেছে।
এই উপলক্ষে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে আলোর উৎসব। পুরান মতে বলা হয়, মনের অন্ধকারকে শেষ করতে জ্ঞান বা অালোর প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনি অমাবস্যার রাতে কালী পুজাকে উৎসর্গ করে চারদিকের অালোর উৎসবে মেতে ওঠে অাপামর বাঙালিরা।
অাবার রোববার (৩০ অক্টোবর) গোটা ভারত জুড়ে পালিত হবে দেওয়ালি বা দীপাবলি। এদিন বাঙালির পয়লা বৈশাখের মত অবাঙালিদের নতুন বছর শুরু হয়। লক্ষ্মী- গণেশ পুজার মধ্য দিয়ে তারা বছর শুরু করে। অাবার হিন্দু মহাকাব্য রমায়ন মতে শ্রী রামচন্দ্র পিতৃ অাজ্ঞা পালনে চোদ্দ বছর বনবাস শেষ করে যখন অযোধ্যা ফিরেছিলেন, তখন সমস্ত অযোধ্যাবাসী রাম সীতা লক্ষ্মণের ফেরার অানন্দে সারা রাজ্যে দীপ বা প্রদীপ জ্বালায়। কারণ সে দিনও ছিল অমাবস্যা। এই দীপ অাজ অাকার নেয় দীপাবলির। দীপ মানে অালো অার একাধিক দীপের অালোয় যে বলয় সৃষ্টি হয় তার নামই দীপাবলি।
অাজ কালীপুজা উপলক্ষে আতশ বাজির রোশনাই দেখা যাবে কলকাতাসহ সারা পশ্চিমবঙ্গের আকাশে। এই কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ৯০ ডেসিবলের বেশি শব্দ উৎপন্ন হয় এমন শব্দ বাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পুজা হবে পশ্চিমবঙ্গ সহ কলকাতার বিভিন্ন মন্দিরগুলোয়। কালী পুজা উপলক্ষে বীরভুমের তারাপীঠ, উত্তর চব্বিশ পরগনার দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির, কলকাতার কালীঘাট মন্দির, লেক কালীবাড়ি, অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির প্রতিষ্ঠিত ঠনঠনিয়া কালী মন্দির সহ বিভিন্ন মন্দিরে বিশেষ পুজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দক্ষিণ কলকাতার ঢাকা কালীবাড়ি পুজা। এখানে পুজার বিশেষত্ব হল ঢাকা ও কলকাতায় একই সময় মেনে পুরুতমশাই দেবীর অারাধনায় বসেন।
এই সমস্ত উল্লেখযোগ্য মন্দিরগুলোতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে জমা হয়েছে প্রচুর ভক্ত। গোটা দিন উপবাস থেকে মধ্য রাতে দেবীর পায়ে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে অানন্দে সামিল হবেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ২৯ অক্টোবর , ২০১৬
এসএস/আরআই