ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ইডেন গার্ডেনে গিয়ে যত আফসোস!

আসিফ আজিজ, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
ইডেন গার্ডেনে গিয়ে যত আফসোস!

বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন টিমের আটদিনের সফরের শেষ দিন সকাল। সময় খুব বেশি নয়, ঘোরাঘুরি হবে ঘণ্টা তিনেক। প্রথম গন্তব্য ছিল কলকাতার ঐতিহাসিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেন।

কলকাতা থেকে: বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন টিমের আটদিনের সফরের শেষ দিন সকাল। সময় খুব বেশি নয়, ঘোরাঘুরি হবে ঘণ্টা তিনেক।

প্রথম গন্তব্য ছিল কলকাতার ঐতিহাসিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেন। উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় এ স্টেডিয়ামের সামনে গিয়েই চলতে থাকলো সেলফির তুবড়ি। বাঙালির ক্রিকেট উন্মাদনা বলে কথা! ভিতরে ঢুকেই মাঠের সামনে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে আরেকদফা ক্লিক ক্লিক। কিন্তু সবার আফসোস, সবার অপূর্ণতা একটাই- ‘দাদা’ ছাড়া কি ইডেন জমে! দাদা মানে ক্রিকেটের বাঁহাতি লিজেন্ড সৌরভ গাঙ্গুলী। ট্যুরে ডেলিগেটসদের গ্রুপ লিডার ফয়েজ তো বলেই ফেললেন, ইডেনে আসছি দাদা কই। আমরা দাদাকে দেখতে চাই, দাদা ছাড়া কি ইডেন জমে!

 

 
গোটা ট্যুরে তার ভূমিকা ছিল হ্যামিলিয়নের বাঁশিওয়ালার মতো। ফয়েজ ভাইয়ের বাঁশি মানেই সবাই হয় গ্রুপ ছবি তোলার জন্য একত্র হতে হবে, নতুবা সময় শেষ, উঠতে হবে বাসে। তার মতো আফসোস করা তরুণের সংখ্যাই বেশি। ইডেনের ডা. বি সি রায় গ্যালারিতে যথারীতি তার বাঁশির টানে হয়ে গেল আরেকদফা গ্রুপ ছবি।
 
ইডেনে এসে টানাটানি পড়লো দলের কয়েকজন খেলোয়াড় আম্পায়ার নিয়ে। কারণ এ মাঠ তাদের কাছে বিশেষ কিছু। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব উনিশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলামও সফরসঙ্গী। ঢাকায় ফ্ল্যাগ অফ অনুষ্ঠানের দিন জাতীয় দলের দুই তরুণ স্টার ক্রিকেটার মোস্তাফিজ ও মিরাজ যাকে খুব শিগগিরিই জাতীয় দলে দেখার প্রত্যাশা করেছিলেন। ইডেন এসে সেই সাদমানের অনুভূতি, ক্রিকেটারদের সবার স্বপ্ন তো ইডেনে খেলা। ছোটবেলা থেকে যখন সৌরভ, শচীনের খেলা দেখতাম ইডেনে তখন থেকেই মনে হতো যদি আমিও ওখানে খেলতে পারতাম!আমারও ইচ্ছে আছে ইডেনে খেলার। সামনে বাংলাদেশের একটি সিরিজ আছে দেখি খেলার সুযোগ পাই কিনা।
 
মো. সাদ উদ্দীন আবাহনীর তরুণ ফরোয়ার্ড। খেলেছেন অনূর্ধ্ব উনিশ জাতীয় ফুটবল দলে। ডেলিগেটসদের একজন তিনি। বিখ্যাত এ মাঠে এসে তার আফসোসটা যেন আরও বেড়ে গেল, আমি প্রথমবার এখানে এলাম। কিন্তু আমি তো আর এখানে খেলতে পারবো কখনও, আমি চাই সাদমান এখানে খেলুক।
 
আবাহনীর হয়ে ক্লাব ফুটবলের প্রথম ম্যাচেই গোল করে চমক দেখানো এই যুবক আরও বলেন, অনেক নামি ইডেন স্টেডিয়াম, অনেক শুনেছি। আজ দেখে আরও ভালো লাগলো।
 
৬৬ হাজারের বেশি দর্শকধারণ ক্ষমতার এ স্টেডিয়ামের সঙ্গে ঢাকার মিরপুর স্টেডিয়ামের মিলতালও কম চললো না। সেখানে হয়তো কোথাও এগিয়ে কোথাও পিছিয়ে। তবে সেটা কারও কাছে বিবেচ্য বিষয় ছিল না। সবার আফসোস ছিল হয়তো দাদাকে না পাওয়া, খেলা দেখতে না পারা। তবু ভিতরে ঢুকতে পেরে, দেখতে পেরেই যে সবাই মহাখুশি সেটা বলাই বাহুল্য।
 
তরুণ আম্পায়ার জে আর শামীমের অনুভূতি,এবার ইডেনে খুবই ভালো লাগলো। মাঠের মানুষ হিসেবে ইডেনের মাঠ দেখে কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গিয়েছিলাম অন্য ভুবনে। মাঠে নামতে খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো। আর ডেসিংরুমটা দেখতে পারলে আরও ভালো লাগতো।
 
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের এইচআর এক্সিকিউটিভ নুজহাত মিথিলা বলেন, ইডেনে এসে অন্তত একটি ম্যাচ দেখতে পারলে আরও ভালো লাগতো। একটু আফসোস থেকেই গেল।
 
৪ ডিসেম্বর থেকে আটদিনের ভারত সফরে বাংলাদেশের ১০০ জনের ইয়ুথ ডেলিগেশন টিম দিল্লি, আগ্রা, আহমেদাবাদ ও কলকাতার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেছে।
 
আরও পড়ুন...
** সত্যি ‘গো দেওতা কা দেশ’!
**  তাজমহলে হয়ে যান ‘ডিপি’, করুন ‘সিপি’!
**গুজরাটে বসে কলকাতার থ্রিলার দর্শন
** সুর-বাদ্যে বাংলাদেশ-ভারতের সংস্কৃতি বিনিময়

 
 
 
 

 

** সমাধিসৌধে খচিত গান্ধীর ‘শেষ উক্তি’
** দিল্লি জামে মসজিদ থেকে লালকেল্লা
** সান্ধ্য আলোয় যুদ্ধস্মৃতির ইন্ডিয়া গেট
** জাদুটানা দিল্লি জাদুঘর
** বাংলা উচ্চারণেই মুগ্ধতা ছড়ালেন রাষ্ট্রপতি প্রণব
** বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রণব মুখার্জির
** হিমালয় দেখতে দেখতে সোয়া ২ ঘণ্টায় দিল্লি!
** ভারতে বাংলাদেশের ইয়ুথ ডেলিগেশন টিম
** ভারত যাচ্ছে বাংলাদেশের ইয়ুথ ডেলিগেশন টিম  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।