সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ইলিশ মাছ রক্ষার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের পথ অনুসরণ করেই ইলিশ বাঁচাতে এই কড়া পদক্ষেপের দিকে হাঁটতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
পশ্চিমবঙ্গে এর আগে ছোট ইলিশ ধরলে পাঁচ হাজার রুপি পর্যন্ত জরিমানার ব্যবস্থা ছিল।
দীঘা ফিশারমেনস অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাশ জানান, জেল ও জরিমানার যে প্রস্তাব পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিচ্ছে, সেটি চালু হলে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তারাও চান খোকা ইলিশ ধরা বন্ধ হোক।
তিনি আরও জানান, ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই সময় কাল অন্তত আরও দেড় মাস বৃদ্ধি করা হোক। একই সঙ্গে যে সমস্ত মৎস্য ব্যবসায়ী খোকা ইলিশ ধরছেন তাদের ট্রলার এবং জাল বাজেয়াপ্ত করা প্রয়োজন।
গতবছর এবং চলতি বছরের রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের দীঘা উপকুলে। কঠোর আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে আরও বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরা পরবে বলে মনে করছেন ইলিশ ব্যবসায়ীরা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইলিশের সংরক্ষণ ও উৎপাদনে বিশেষভাবে নজর দিয়েছেন। ইলিশের সংরক্ষণে পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবারের সুলতানপুরে চালু হয়েছে ‘হিলসা কনজারভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’।
ছোট ইলিশ ধরা বন্ধ হলে অনেক ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের কর্মসংস্থানের সংকট হবে বলে অনেকে মনে করছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় বিকল্প কর্মস্থানের ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সকলেই মনে করছেন কঠোর আইন এবং তার সঙ্গে মৎস্যজীবী কর্ম সংস্থানের কথা ভাবলে ইলিশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অনেকটাই সফল হবে পশ্চিমবঙ্গ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
এসএস/জিপি