এদিকে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসে ভোটের দিন ঠিক হওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ অধিকাংশ রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলো।
সংগঠনের নেতৃত্বদের দাবি, শ্রম দিবসের দিন কর্মচারীদের কাজ করিয়ে গোটা শ্রমজীবী সমাজকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
অন্যদিকে বামদের শ্রমিক সংগঠন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিনহা বলেন, জানি তিনি জ্যোতিষ মানেন। তবে মে দিবস দিনটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে গোটাবিশ্বে পালিত হয়। শ্রমিক-কর্মচারী থেকে শ্রমজীবী মানুষ প্রত্যেকে ওই দিনটিতে নিজের অর্জিত অধিকার রক্ষার শপথ নেন। এই ঐতিহাসিক দিনে কর্মীদের কাজ করিয়ে সমগ্র কর্মচারী সমাজকে কী বার্তা দিতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী?
একই সুরে ১ মে ভোটের দিন ঘোষণা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নগুলো।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিপুল রায় জানানা, মে দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে খাট করতে রীতিমতো চক্রান্ত করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তাদের বক্তব্য, নবান্নের সরকারের চাপে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পঞ্চায়েত ভোটের তারিখ ঠিক করেছেন। অবিলম্বে ১ মে প্রথম দফার ভোটের তারিখ নির্ধারণ পরিবর্তনের দাবি কমিশনের কাছে জানাবেন তারা। শুধু তাই নয়, সংগঠনগতভাবে সদস্যদের মতামত নিয়ে লিখিত প্রতিবাদের একটি চিঠি দেবে কয়েকটি সংগঠন। যাতে ওইদিন কোনোভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন কোনো নিয়ম নেই যে মে দিবসে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না। মে দিবসে ছুটি, তাহলে পরের দিন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
ভিএস/এএটি