এরপর বিরোধীদের চাপে জল গড়িয়েছিল রাজ্য হাইকোর্ট পর্যন্ত। প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েও উত্তাল ছিল রাজ্য রাজনীতি।
অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) দিনভর টানাপোড়ানের মধ্য এক প্রকার ‘নবান্নে’ চাপানো প্রস্তাব মেনে নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গে ঠিক হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ।
এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা ঘটলো। নবান্নের সঙ্গে মতানৈক্যের ফলে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করলো পঞ্চায়েত ভোটের তফসিল। ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গে।
তবে তিন দফায় নয়, পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে একদফাতেই। ১৪ মে ভোট, আর ১৭ মে হলে গণনা। মাঝখানে ১৬ মে দিনটাকে রাখা হচ্ছে যদি কোথাও পুনঃনির্বাচন হয়।
নির্বাচন কমিশন বলছে, রাজ্যে ২০টি জেলায় ৪ হাজার ৬৫৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে ভোট নেওয়া হবে এক দফায়। ভোটগ্রহণ হবে ৯ হাজার ২১৭টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৮২৫টি জেলা পরিষদ আসনের জন্যও। মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮ হাজার।
এদিকে রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই বলে আসছে, প্রতি বুথেই সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার কোনো সম্ভাবনা নেই। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে মোট ভোটার ৫ কোটি ৮ লাখ। মোট বুথ ৫৮ হাজার ৪৩৫টি।
অর্থাৎ একদফায় ভোট হলে ৫৮ হাজার ৪৩৫টি বুথে মাথাপিছু একজন করে পুলিশ থাকবে। আর ভোট হবে ব্যালট প্রক্রিয়ায়। এভাবে চললে ভোটের দিন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে বিরোধী দলগুলো।
ভোটের দিন ঘোষণা হলেও এখনও নির্বাচিন নিয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। শনিবার (২৮ এপ্রিল) পরিষ্কার হবে, কত বুথে ভোট হবে বা কত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আর এর উপরই নির্ধারণ হবে বুথের সিকিউরিটি প্ল্যান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
ভিএস/এমএ