ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে একাধিক তারকা প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে শনিবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২১
পশ্চিমবঙ্গে একাধিক তারকা প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে শনিবার ...

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেছে সকাল ৭টা থেকে।  

শনিবার (১০ এপ্রিল) ভোট চলছে রাজ্যের ৫ জেলা অর্থাৎ আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতার একাংশ মিলিয়ে মোট ৪৪টি আসনে।

 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মোট ১ হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয়বাহিনী আনা হয়েছে। তারমধ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে ৭৯৩ কোম্পানি আধা সামরিক সেনাবাহিনী।

তৃণমূল, বিজেপি, সংযুক্ত মোর্চা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল মিলিয়ে চতুর্থ দফায় প্রার্থী সংখ্যা ৩৭৩ জন। সম্পূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া চলছে ইভিএম-এর মাধ্যমে। এই দফায় দুই দলের একাধিক তারকা প্রার্থী আছেন। বিজেপির ছয় জন তারকা প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে এদিন। পাঁচজন আছেন তৃনমূলের। কলকাতার বেহালা-পূর্ব বিজেপির তারকা প্রার্থী পায়েল সরকার। অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় বেহালা-পশ্চিম, টালিগঞ্জ এর বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়ো, হুগলির চণ্ডীতলার প্রার্থী অভিনেতা যশ এবং লকেট চট্টোপধ্যায় প্রার্থী হয়েছেন হুগলীর চুঁচুড়া কেন্দ্র থেকে।

এছাড়া দক্ষিণ ২৪পরগণা জেলার দক্ষিণ-সোনারপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু এবং এই কেন্দ্রেই তৃনমূল প্রার্থী অভিনেত্রী লাভলি মৈত্র। এছাড়া হাওড়া জেলার উত্তরপাড়ায় তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। হুগলীর চন্দননগর থেকে আছেন সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন। হাওড়ার শিবপুরে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারী ও উলুবেড়িয়া-পূর্ব তৃণমূল প্রার্থী ফুটবলার বিদেশরঞ্জন বসু।

গত বিধানসভা নির্বাচনে এই ৫ জেলার ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে এই ৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ৩৯টিতে। বিজেপি পেয়েছিল ১টি। বামেরা পেয়েছিল ৩টি এবং তাদের সহযোগী কংগ্রেস জিতেছিল ১টিতে। সেবারও জোট বেঁধেছিল বাম-কংগ্রেস। তবে ২০১৬ থেকে ২০১৯, তিন বছরে এই আসনগুলোয় বিজেপির ভোট বেড়েছে প্রায় ৩ গুণেরও বেশি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে যে ফল হয়েছিল তাতে বিধানসভা ভোট ভিত্তিক হিসেব করলে দেখা যায় ৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২৫টি এবং বিজেপি এগিয়ে ছিল ১৯টি কেন্দ্রে। বাম এবং কংগ্রেসের ঝুলি ছিল শূন্য। লোকসভায় বাম-কংগ্রেস জোট বাঁধেনি।

লোকসভা ভোট হয় দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণে। এই আঁচ একুশের বিধানসভা ভোটে পড়বে কিনা তা তো সময় বলবে। তবে এটা বাস্তব বর্তমানের রাজ্যের রাজনৈতিক ধারা অনেকটাই পরিবর্তন করেছে বিজেপি। এখন দেখার এবারের নির্বাচনে তৃণমূলই ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে কিনা, নাকি বিজেপিকেই বেছে নেবে রাজ্যবাসী। তা জানা যাবে ২ মে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২১
ভিএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।