কলকাতা: সবেমাত্র দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কাটিয়ে সুস্থ হচ্ছিল ভারত। দৈনিক করোনা শনাক্তের সংখ্যা চার লাখ থেকে ৫০ হাজারের নীচের দোরগোড়ায়।
বুধবার (২৩ জুন) কেন্দ্রীয় সরকার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিকে ‘ভ্যারিয়্যান্ট অফ কনসার্ন’ এর আখ্যা দিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও কেরালায় ডেল্টা প্লাস ভাইরাসের ছোবলে কাবু অনেকে। এই তিন রাজ্যের ওপর বিশেষ নজর দিয়েছে সরকার। ট্রেস এবং ট্রাকিংয়ের ওপর জোর দিতে বলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
তথ্য বলছে, ডেল্টা ভাইরাসের আপগ্রেড ভার্সন হলো ডেল্টা প্লাস। ডেল্টা প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির হার অনেক বেশি, মানুষের ফুসফুসকে দ্রুত আক্রমণ করে থাকে এই প্রজাতি, মনোক্লোনাল অ্যান্ডিবডির একচেটিয়া কার্যকারিতা ক্রমশ হ্রাস পায়। অতিদ্রুত ছড়ায় বলে এই ডেল্টা প্লাস প্রজাতির কারণে ভারতে তৃতীয় ঢেউ মহামারির রূপ নেবে।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, ভারতে তিন রাজ্যের ছয় জেলায় ২৪ জনের শরীরে ডেল্টা প্লাস প্রজাতির ভাইরাস মিলেছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ১৬ জন এবং বাকি ৮ জন শনাক্ত হয়েছেন দেশটির কেরালা এবং মধ্যপ্রদেশে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব বলেছেন, ‘আমরা এ নিয়ে বিশদ তথ্য সংগ্রহ করেছি। তবে এ নিয়ে এখনই খুব ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
তবে ভারতে ডেল্টা প্লাস চিকিৎসায় যেসব ওষুধ রয়েছে তা নতুন প্রজাতিতে কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকরা। গবেষকরা জানিয়েছেন, কোভিড ডেল্টা প্লাসের কারণে তৃতীয় ঢেউ ভারতে ভয়াবহ আকার নিতে পারে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে। দৈনিক শানাক্তের হার পৌঁছে যেতে পারে ৫ লাখে। ধারণা করা হচ্ছে ভারতে আগস্টে দৈনিক ৩ দশমিক ২ লাখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে শনাক্তের হার। এরপর সেপ্টেম্বরে চরমে পৌঁছতে পারে তৃতীয় ঢেউ। তখন দেশটিতে দৈনিক শনাক্তের হার ৫ লাখে পৌঁছাতে পারে।
তবে শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্ব ভারতের ডেল্টা প্রজাতি (বি.১.৬১৭.২) নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ডেল্টা প্রজাতিকে আগেই সবচেয়ে মারাত্মক প্রজাতি হিসেবে ঘোষণা করেছে। ভারতের পাশাপাশি আমেরিকা, ব্রিটেন, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, জাপান, পোল্যান্ড, নেপাল, চিন এবং রাশিয়ায় কোভিড ডেল্টা প্লাস প্রজাতির সন্ধান মিলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
ভিএস/আরএ