কলকাতা: সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এরকম থাকলে অক্টোবরের শেষে অর্থাৎ দুর্গা পুজার পর খুলে দেওয়া হবে রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে পুজার পর স্কুল খোলার বিপক্ষে অভিভাবকদের একাংশ। স্কুল খোলা নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর থেকে এক সমীক্ষা করা হয়েছিল, এতে একাংশ অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ এ বিষয়ে নেতিবাচক মত দিয়েছেন। তাই শিক্ষাদপ্তরও এখন দোটানায় পড়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টম্বর) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, সমীক্ষায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
সমীক্ষা অনুযায়ী, একাংশ ভাবছেন হঠাৎ করে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হলে কী হবে? ফলে ওই সময় করোনা পরিস্থিতি কী থাকে, তা দেখে নিতে চান। জেলার বহু স্কুল থেকেই জানানো হয়, নতুন ভবন বা ক্লাসরুম তৈরি করা না গেলে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে শিক্ষর্থীদের বসানো সম্ভব নয়।
অনেক অভিভাবক মনে করছেন, যতক্ষণ না শিশুদের টিকাকরণ না হয়, ততক্ষণ তাদের স্কুলে যেতে দিতে নারাজ। তবে অন্যদের মতো বাড়ি থেকে শিক্ষার্থীরা অধৈর্য হয়ে পড়ছে। তারা স্কুলে আসার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। তাই সপ্তাহে অন্তত দুই বা তিনদিন স্কুল খোলা করা অনুরোধ রেখেছে।
আবার একাংশ মত দিয়েছেন, অন্তত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে না হয়ে স্কুলে হোক। ফলে অক্টোবরের শেষে স্কুল খোলার সম্ভাবনা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে।
মূলত মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্কুল খোলার ঘোষণার পর রাজ্যে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তবে সে সময় শিক্ষক সংগঠনগুলো করোনাবিধি মেনে স্কুল খোলার পক্ষেই মত দিয়েছিল। তারপরেই শিক্ষা দপ্তর-স্কুল, অভিভাবক ও শিক্ষকদের কাছে স্কুল খোলা নিয়ে মতামত গ্রহণের কাজ শুরু করা হয়। এই সমীক্ষার আওতায় রাখা হয়েছিল প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ০৮, ২০২১
ভিএস/জেএইচটি