ঢাকা: দেশের বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সব চেয়ে ভালো মানের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
রোববার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক ভূইয়া লিটনের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা সোমবার (৬ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব চেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৬৯২ টাকা বাড়িয়ে ৯৯ হাজার ৯৯০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৩৯৯ টাকা বাড়িয়ে ৮৫ হাজার ৬১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৭১ হাজার ৩২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে গত ১৬ ও ২৭ অক্টোবর এক দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। তার আগে ১ ও ৫ অক্টোবর এবং ২৮ সেপ্টেম্বর তিন দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। এর মধ্যে ২৭ সেপ্টেম্বর সব চেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৮৪ টাকা কমানো হয়। আর ১ অক্টোবর কমানো হয় ১ হাজার ৭৪৯ টাকা। আর ৫ অক্টোবর কমানো হয় ১ হাজার ১৬৭ টাকা। অর্থাৎ তিন দফায় ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে ৪ হাজার ২০০ টাকা। আর তিন দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ হাজার ২৪৯ টাকা।
এর আগে ২৭ অক্টোবর সব চেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ২ হাজার ৩৩২ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২ হাজার ৮৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ২ হাজার ২১৪ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ২১০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৮৪ হাজার ২১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৭০ হাজার ১৫৯ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়।
তার আগে ১৬ অক্টোবর সব চেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়ে ১ লাখ ৫৪৪ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ৯৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৮২ হাজার ২৩১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণে ৮১৬ টাকা বাড়িয়ে ৬৮ হাজার ৫৮৪ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়।
তারও আগে ১২ অক্টোবর সব চেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ৯৯ হাজার ৩৭৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ২ হাজার ২১৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৮২৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৮৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৮১ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৬৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ৭৬৮ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। আজ রোববার পর্যন্ত এ দামেই স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে।
এদিকে স্বর্ণের অলংকার কিনতে ক্রেতাদের বাজুস নির্ধারিত দামের থেকেও বাড়তি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের অলংকার বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে নতুন দাম অনুযায়ী এক ভরি স্বর্ণের অলংকার কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বেশি গুনতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২৩
জিসিজি/আরআইএস