ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে হাস-মুরগি-ছাগল পালন, ঘুরছে নারীদের ভাগ্যের চাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে হাস-মুরগি-ছাগল পালন, ঘুরছে নারীদের ভাগ্যের চাকা বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত দুই নারী। ছবি: বাংলানিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: লিলি বেগম। পেশায় একজন গৃহিণী।

স্বামী ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করেন। তার স্বল্প আয়ের টাকায় স্বামী-স্ত্রী ও তিন কন্যা নিয়ে কোনো রকমে চলছিল সংসার। তবে লিলি বেগমের ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন থেকে সুদমুক্ত ঋণ পাওয়ার পর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ওলুকান্দি গ্রামের এ নারী ওই ঋণের টাকায় হাস, মুরগি ও ছাগল কিনেছেন। সেগুলো পালনের পর বিক্রির মাধ্যমে আয় করছেন টাকা। সংসারের আয়-রোজগারে এখন গতি আসছে বলে তৃপ্তি ঝরে লিলি বেগমের কণ্ঠে।

বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৭২তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে কথা হচ্ছিল এই প্রান্তিক নারীর সঙ্গে। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দুর্গারামপুর গ্রামে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী।

লিলি বেগম বলেন, কোনো ব্যাংক বা সমিতি থেকে টাকা নিলে সুদসহ টাকা পরিশোধ করতে হয়। আমাদের মত গরিব মানুষদের এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিলে তা পরিশোধ করা কষ্ট হয়ে যায়। তবে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন থেকে তিনবার সুদ ছাড়া ঋণের টাকা পেয়েছি। প্রথমে সাত হাজার টাকা, দ্বিতীয়বার ১০ হাজার ও তৃতীয়বার ১৫ হাজার টাকা পেয়েছি। তারা আমাকে সুদ ছাড়াই ঋণ দিয়েছে। স্বামীর স্বল্প আয়ে তো সংসার চলে না। তাই এই টাকা দিয়ে হাঁস, মুরগি ও ছাগল কিনেছি। এগুলো পালন করে পরে বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে। টাকা পরিশোধ করতে আমাদের কোনো বেগ পেতে হয় না।  

ঋণ পেয়ে সুবিধাভোগী উজানচর গ্রামের মিনারা বেগম বলেন, স্বামী অন্যের জমিতে বর্গা চাষ করে। তার আয় দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। তাই লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কাছে যাই। তারা আমাকে সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। দুই কিস্তিতে ৩০ হাজার টাকা পেয়েছি। এই টাকায় ছাগল কিনেছি। এখন আমার ছয়টি ছাগল। এর মধ্যে বিক্রি করেছি দুইটি ছাগল ২০ হাজার টাকায়। যে টাকা ঋণ নিয়েছি তার অর্ধেক পরিশোধ করেছি।  

তিনি বলেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন আমার মত হাজার হাজার অসহায় নারীকে সুদ ছাড়া টাকা ঋণ দিয়ে সহায়তা করছে। এতে সবাই দিন দিন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। আমরা দোয়া করি, বসুন্ধরার চেয়ারম্যান স্যার সব সময় যেন এভাবে অসহায় মানুষের পাশে থাকতে পারেন।

ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বাঞ্ছারামপুর বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবীর, বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হজরত আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমির হোসেন আনোয়ার, বাঞ্ছারামপুর বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশারফ হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।