ঢাকা: সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে ২৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের চার জেলায় বাফার গুদাম নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পে ১২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে হাউজিং কলোনি ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ পেল এম জামাল অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অর্থমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের হাউজিং কলোনি ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত পূর্ত কাজের মধ্যে প্যাকেজ-ডব্লিউআই এ অন্তর্ভুক্ত কাজসমূহ (টেন্ডার আইডি- ৮৫৩৪৭৫) উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে (ওটিএম) বাস্তবায়নের জন্য ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা এম জামাল অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড।
তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবে সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩য় প্যাকেজের লট-১ এবং লট-২ এর ৪টি সাইটের (জয়পুরহাট (১৫০০০মে. টন), সিরাজগঞ্জ (২০০০০মে. টন), লালমনিরহাট (১০০০০মে. টন) এবং দিনাজপুর (২০০০০মে.টন) নির্মাণ কাজসমূহ উন্মুক্ত পদ্ধতি (ওটিএম)-তে বাস্তবায়নের জন্য ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২৪৬ কোটি ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা হলো যৌথভাবে এমএসসিএল-এমএসডিবিএল।
এছাড়া খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্পের পূর্ত কাজের ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি ৩৯ লাখ ৯ হাজার ৪৭৫ টাকা। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স এবং এসএসএল। প্রকল্পের আওতায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০তলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৪
জিসিজি/এমজেএফ