ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

১৪ কোম্পানির চেয়ারম্যান-এমডিকে তলব করেছে বিএসইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৪
১৪ কোম্পানির চেয়ারম্যান-এমডিকে তলব করেছে বিএসইসি

ঢাকা: সর্বশেষ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করার পরেও তা বিতরণ না করায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪টি কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও কোম্পানি সচিবকে তলব করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আগামীকাল রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনের মিটিং রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

কোম্পানিগুলো হলো- লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেড, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ভিএফএস থ্রেড ডাইং লিমিটেড, ফরচুন সুজ লিমিটেড, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড, দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বিচ হ্যাচারি লিমিটেড, অ্যাডভেন্ট ফার্মা লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, লিবরা ইনফিউশন লিমিটেড, প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড এবং ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স লিমিটেড।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ হিসাব বছরে উল্লিখিত ১৪টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে। কিন্তু লভ্যাংশ ঘোষণা করার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো তা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করেনি। ফলে গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিগুলোকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি কিছু কোম্পানি ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের প্রদান করার কারণে ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে উন্নীত করা হয়েছে। তবে কি কারণে কোম্পানিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের দেয়নি, সভায় তার ব্যাখ্যা জানবে কমিশন। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলোকে দ্রুত লভ্যাংশ বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হবে। এরপরেও যদি কোম্পানিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি পর্ষদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এবং পুঁজিবাজারের সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিশন খুবই আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আগামীতে অতিদ্রুত স্বল্প সময়ের মধ্যে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার করা হবে। এর ফলে আমরা শিগগিরই উন্নত পুঁজিবাজার দেখতে পাব বলে আশা করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৪
এসএমএকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।