ঢাকা, বুধবার, ০ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বুধবার থেকেই আবার সঞ্চয়পত্র বিক্রি শুরুর আশা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
বুধবার থেকেই আবার সঞ্চয়পত্র বিক্রি শুরুর আশা

অনলাইন পদ্ধতির উন্নয়নের (আপগ্রেডেশন) কাজ চলায় সঞ্চয়পত্রের ওয়েব সার্ভার সাময়িক বন্ধ আছে। তাই বন্ধ আছে সঞ্চয়পত্রের কার্যক্রম।

 বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সার্ভার আপগ্রেডেশন সম্পন্ন হবে এবং ওইদিনই সঞ্চয়পত্র বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর মহাপরিচালক জাকিয়া খানম।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ওয়েব সাইটের আপগ্রেডেশনের কার্যক্রম চলছে। এ জন্য সার্ভার চালুর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি বুধবারের (১৫ জানুয়ারি) মধ্যেই সাইটের কাজ শুরু করা যাবে। কালকের মধ্যেই চালু করার ব্যাপারে চেষ্টার ত্রুটি থাকবে না। আমরা সে রকমই জানতে পেরেছি। তবে বৃহস্পতিবার সার্ভার নিশ্চিত চালু হবে।

যথাযথ পূর্ব ঘোষণা ছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ে বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র কিনতে গিয়ে ফিরে আসে অনেকে। ব্যাংক থেকে জানানো হয়, সঞ্চয়পত্র বিক্রি সাময়িকভাবে বন্ধ আছে, কাল বা পরে আসতে।  

অধিদপ্তরের সার্ভারের কাজটি পরিচালনা হয়ে থাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অর্থ বিভাগের স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট, প্রোগ্রাম টু এনাবল সার্ভিস ডেলিভারির (এসপিএফএমএস) মাধ্যমে এটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত বুধবার থেকে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলছে। ওই দিন থেকেই বন্ধ রয়েছে সার্ভার অর্থাৎ সার্ভার ডাউন রয়েছে। এতে বন্ধ হয়ে যায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি বা ভাঙানো।

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে গিয়ে সোমবার কয়েকজন গ্রাহক বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক থেকে ফেরত এসেছেন। জয়া সরকার নামের একজন বাংলানিউজকে বলেন, সঞ্চয়পত্র কিনতে খোঁজ খবর নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়েছিলাম, জানানো হয়েছে, বিক্রি সাময়িক বন্ধ আছে। পরে বোর্ডের নোটিশ বোর্ডে দেখতে পাই সঞ্চয়পত্র বিক্রি সাময়িক বন্ধ।  

তিনি বলেন, নোটিশ বোর্ডে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরিবর্তে সরকার যদি সার্ভার বন্ধের বিষয়টি পত্রিকায় ও টেলিভিশন চ্যানেলে বা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতো তাহলে বিষয়টা সহজে আমরা জানতে পারতাম। কাজটা অর্থ বিভাগও করতে পারত, আবার সঞ্চয় অধিদপ্তরও করতে পারত। অধিদপ্তর দায়সারা একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্রেতাদের দুর্ভোগে ফেলেছে।  

সঞ্চয় অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের সার্ভারের পুরো কাজটা অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের থাকার কারণে মন্ত্রণালয়ই পুরো বিষয়টি দেখভাল করছে। সেখান থেকে কাজ চলছে। বুধবারের মধ্যে আপগ্রেডেশনের কাজ সম্পন্ন হলে বৃহস্পতিবার থেকে গ্রাহকরা পুরোদমে ক্রয় ও ভাঙানোর করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
জেডএ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।