ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রমজানে বাড়ছে না নিত্যপণ্যের মূল্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৫
রমজানে বাড়ছে না নিত্যপণ্যের মূল্য ছবি : দেলোয়ার হোসেন বাদল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রয়োজনের তুলনায় দেড়গুণ বেশি পণ্য মজুদ আছে।

কারসাজি করে কেউ মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করলে তার জন্য মঙ্গল হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।



সোমবার (০৮ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে গত বছর ব্যবসায়ীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু রমজান মাস নয়, সারাবছরই জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখায় আপনাদের ধন্যবাদ।

আশা করি, এ বছরও আপনারা কথা রাখবেন।

নিত্যপণ্যের কোনো সংকট নেই উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা কেউ যদি দাম বাড়ানোর জন্য জিনিসপত্র মজুদ করেন, তাহলে কিন্তু পরে বিক্রি করতে পারবেন না।
 
ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, আমার জানা মতে, গত বছর অনেকেই খেঁজুর মজুদ করেছিলেন। পরে কিন্তু বিক্রি করতে পারেননি। এবারও দাম বাড়াতে মজুদ করলে বিক্রি করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, আমাদের যথেষ্ট মজুদ আছে এবং সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে।
এ বছর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই।   

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার দেড় বছরে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। আশা করি, আল্লাহর রহমতে আগামী সাড়ে তিন বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রেখে ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারবো।

তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরের সরবরাহ বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারেও দাম কম।

গত বছরের বাজার মূল্যের সঙ্গে এ বছরের তুলনামূলক একটি তালিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত বছর সরু চালের বাজার মূল্য ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি, এ বছর তার দাম ৪০ থেকে ৪৬ টাকা। মোটা চাল ছিল ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা। এ বছর তার দাম ২৮ থেকে ৩০ টাকা। আটা ছিল ৩০ টাকার বেশি। এ বছর ২৭/২৮ টাকা। ভোজ্য তেল ছিল ১১২ থেকে ১১৫ টাকা লিটার। এ বছর তার দাম ৯৭ থেকে ৯৮ টাকা। এভাবে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডাল সব কিছুরই দাম তুলনামূলকভাবে কম। তবে গরুর মাংসের দামটা বেড়েছে।
আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে সংবাদমাধ্যমকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাংবাদিকদের একটি গুরু-দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা এ দেশের সন্তান; আপনাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে।

মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাতলুব আহমেদ, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ মামুন, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৫/আপডেটেড: ১৮০০ ঘণ্টা
এজেডকে/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।