ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রবৃদ্ধি সহায়ক মুদ্রানীতি ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৫
প্রবৃদ্ধি সহায়ক মুদ্রানীতি ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ঢাকা: অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) জন্য প্রবৃদ্ধি সহায়ক  মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর আতিউর রহমান।



এ সময় ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা রাজী হাসান, এস কে সুর চৌধুরী, নাজনীন সুলতানা, প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরুপাক্ষ পাল, চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার আল্লাহ মালিক কাজেমি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মুদ্রানীতি প্রকাশনায় বলা হয়েছে, এবারের মুদ্রানীতি হবে সতর্কতামূলক; তবে সম্পূর্ণভাবে প্রবৃদ্ধিবান্ধব। যা ২০১৬ অর্থবছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২ শতাংশে ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে রিজার্ভ মুদ্রার যোগান বাড়তে পারে ১৬ শতাংশ হারে। একইসঙ্গে ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ বাড়বে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ হারে, যা বিগত অর্থবছরে ছিল ১৩ দশমিক ১ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চলতি অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ এবং সরকারের ঋণ বাড়বে ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ হারে।

এসব কারণে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বাড়ালেও মূল্যস্ফীতি ধরে রাখতে রেপো ও রিভার্স রেপো যথাক্রমে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যে কোনো সময় কেন্দ্রীয় এ হার পুনর্বিবেচনা করবে।

রপ্তানি উৎসাহিত করতে ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি) মার্কিন ডলারের দু’টি বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয় এ মুদ্রানীতিতে।

ঘোষণাকালে গভর্নর বলেন, এ ফান্ডের টাকা মূলত মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য দেওয়া হবে। প্রয়োজনে দেশীয় ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক বাজারে টিকিয়ে রাখতে এ ঋণের বিপরীতে সুদের হার প্রচলিত হারের চেয়ে কমানো হতে পারে।

তিনি জানান, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ জোরদার হওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বর্তমান বৃদ্ধির হারেও শিথিলতা আসবে।

উল্লেখিত তহবিল গঠন এবং বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়া সহজ হওয়ায় দেশের ভেতরে ব্যাংক খাতে তারল্যের উদ্বৃত্তের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করাকে চ্যালেঞ্জ বলে উল্লখ করে আতিউর রহমান বলেন, এতে যে উদ্বৃত্ত থাকবে তা কৃষি, এসএমই ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের চেষ্টা করা হবে। এতে সামগ্রিক সুদের হার কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৫
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।