ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের মধ্যে করদাতা ৪০ লাখে উন্নীত করা চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় আয়কর দিবস ও সর্বোচ্চ এবং দীর্ঘমেয়াদী করদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১ শতাংশ মানুষও কর দেন না। ১৬ কোটির মধ্যে ১৬ লাখ হলেও বলতে পারতাম ১ শতাংশ মানুষ কর দেন। জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য লজ্জাকর।
পার্শ্ববর্তী অনেক গরিব দেশেও আমাদের চেয়ে বেশি মানুষ কর দেন বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, নেপালের কর অবস্থা আমাদের মতো নয়, তাদের অনেক বেশি মানুষ কর দেন।
তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় রাজস্বের অনুপাত এখনো ১০ শতাংশের কাছে রয়েছে। এটা লজ্জাজনক। এখান থেকে আমাদের উত্তোরণ দরকার। উত্তোরণের জন্য আমাদের টার্গেট সরকারের শেষ অর্থবছর ২০১৯-২০ সালের বাজেটে করদাতার সংখ্যা জনসংখ্যার ২ শতাংশ নিয়ে যাওয়া। করদাতা ১১ লাখ থেকে ৪০ লাখে নিয়ে যাওয়া বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সে অবস্থায় পৌঁছাতে পারলে দেশের মানুষের সুখ-সুবিধা অনেক বাড়ানো যাবে। জনকল্যাণ করতে হলে ২০১৯-২০ সালে ৪০ লাখ করদাতায় উন্নীত হওয়া উচ্চাভিলাষী টার্গেট নয়।
৩০ বছর আগে রাজস্ব আদায় ছিল জাতীয় আয়ের ৮ শতাংশ। সেটা টেনে আজকে ১১ শতাংশ হয়েছে। আগামীতে টার্গেট ১৪ শতাংশ। আর এটা কী করে সেখানে নিয়ে যাওয়া যায় সেটাই আমার চিন্তা, বলেন অর্থমন্ত্রী।
অনেক সময় কর আদায় সঠিক হয় না। অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয় সত্য। সব সময় সেটা যৌক্তিকও নয়। এ চাপ প্রয়োগ না করে নমনীয় থাকা প্রয়োজন। করদাতাদের সঙ্গে কিভাবে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা যায় গত ৭ বছর ধরে সরকার সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামীতেও সেটা চলবে, যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সদস্য মো. আবদুর রাজ্জাক।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ কর প্রদান করায় ২০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান, ঢাকা সিটি ও ঢাকা বিভাগসহ সাতটি বিভাগের দীর্ঘমেয়াদী করদাতাদের সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫/আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা
আরইউ/জেডএস