ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘অতিরিক্ত খেলাপি ঋণের কারণে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
‘অতিরিক্ত খেলাপি ঋণের কারণে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না’

ঢাকা: ব্যাংকিং খাতে অতিরিক্ত খেলাপি ঋণ ও বাণিজ্যিক সুশাসন দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং উচ্চ সুদের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কর্মকর্তা রডরিগো কোবেরো।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতর সঙ্গে বৈঠক শেষে লিখিত বক্তব্য দেন তিনি।
 
লিখিত বক্তব্যে প্রতিনিধি দলের প্রধান কোবেরো বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক অডিট পরিচালনাসহ আর্থিক প্রতিবেদন ও স্বচ্ছতা আরও জোরদার হওয়া উচিত। আর্থিক খাত, ঋণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে শক্তিশালী করতে আর্থিক নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নিয়ন্ত্রক নিবৃত্তি এড়িয়ে ও বিদ্যমান নিয়মকে জোরদার করে, ঝুঁকিভিত্তিক তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা গ্রহণ, সুশাসন শক্তিশালীকরণ ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের তদারকি করতে হবে।

জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদ পুনর্নির্ধারণ করাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদ বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে। সরকারের খরচ বৃদ্ধি ও রাজস্ব আয় হ্রাস এ কারণেই হয়ে থাকে।
 
রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে সর্বনিম্ন অবস্থানে জানিয়ে রডরিগো কোবেরো বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানো গেলে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি হবে। এজন্য ২০১৬ সা‌লের জুলাই‌ মাসের ম‌ধ্যে ভ্যাট আইন বাস্তবায়‌ন হলে তা বাংলা‌দে‌শের অর্থ‌নী‌তি‌তে ইতিবাচক প্রভাব ফেল‌বে। আইন কার্যকর হ‌লে প্রবৃ‌দ্ধি ৭ শতাংশ হতে পারে। এজন্য এনবিআর’কে (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) কর আদায় সংশ্লিষ্ট পুরো বিষয়টিকে ডিজিটাল করতে হবে, যাতে সবাই অনলাইনে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।
 
তিনি আরও বলেন, আইএমএফ আর্থিক খাতের পর্যবেক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ, মাইক্রো ইকোনমিক পরিসংখ্যান, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কোবেরো বলেন, ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর চুক্তি হয়েছে। নতুন করে যাতে কোনো ঋণখেলাপি না হয়, সেজন্য সবাইকে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

প্রতিনিধি দলটি অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, অর্থসচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, ব্যাংক ও ব্যবসাখাতের প্রতিনিধি, শ্রম ইউনিয়ন, বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, সরকারের বিভিন্ন দফতর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।  
 
আইএমএফ প্রতিনিধি দলটি ৪ থেকে ১৭ নভেম্বর ঢাকায় অবস্থান করে। ফিরে তারা তাদের মতামত প্রতিবেদন আকারে আইএমএফ’র নির্বাহী বোর্ডের কাছে তুলে ধরবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫/২১২৩ ঘণ্টা
এসই/আরএইচএস/আরএইচ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।