ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গাড়ি-সাজসজ্জায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় কমানোর নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
গাড়ি-সাজসজ্জায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় কমানোর নির্দেশ

ঢাকা: আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনা ও শাখার অফিসগুলোর সাজসজ্জায় ব্যয় কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে অন্যান্য ক্ষেত্রের উচ্চ ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতেও বলা হয়েছে।



বুধবার (১৮অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সম্প্রতি কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নানা ক্ষেত্রে উচ্চ ব্যয় করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য বিলাসবহুল মোটরগাড়ি ক্রয় এবং শাখার চাকচিক্যপূর্ণ সাজসজ্জায় উচ্চ অংকের ব্যয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

এ প্রবণতা নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকার অধিক মূল্যে মোটরকার না কেনার নির্দেশ দেওয়া হলো। তবে জিপ কিনলে এর পরিমাণ সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা করা হয়েছে।

আগে মোটরকারের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ লাখ এবং জিপের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা খরচ করা যেত।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, মোটরযান বহরে যানবাহনের সংখ্যার প্রবৃদ্ধি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জনবল ও অফিস শাখার সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।

সাধারণভাবে পর্ষদ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীর জন্য সার্বক্ষণিক গাড়িসহ সব যানবাহন অন্তত ৫ বছর ব্যবহারের পর প্রতিস্থাপনযোগ্য হবে। ব্যাংকের মোটরযান বহরের ব্যবহার ও পরিচালনা ব্যয়ের তথ্য ছয়মাস পর পর পরিচালনা পর্ষদের সভায় এবং প্রত্যেক বার্ষিক সাধারণ সভায় অবগতি ও পর্যালোচনার জন্য উপস্থাপন করতে হবে।

সাজসজ্জার বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে নতুন শাখা স্থাপন বা বিদ্যমান শাখা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ৫ হাজার বর্গফুটের অধিক ফ্লোর স্পেস ব্যবহার করা যাবে না। আইটি সরঞ্জাম ব্যতীত অন্যান্য খাতে (ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন, অফিস ফার্নিচার, ইলেকট্রিক-ইলেকট্রনিক প্রভৃতি) নতুন শাখা স্থাপন ও বিদ্যমান শাখা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটের জন্য এক হাজার ৫০০ টাকার অধিক ব্যয় করা যাবে না।

আইটি সরঞ্জাম বাবদ ব্যয়ও যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে রাখতে হবে। তবে আসবাবাদি ও অন্যান্য সরঞ্জামে বিলাসিতা বা চাকচিক্যের পরিবর্তে মৌলিক প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে পর্যাপ্ত গুণগত মান ও টেকসই হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।