ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মূল্যছাড়ে মিলছে বিশুদ্ধ থাই ফলের জুস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৬
মূল্যছাড়ে মিলছে বিশুদ্ধ থাই ফলের জুস ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: থাইল্যান্ডের ফল কতোটা সুস্বাদু, সেটা যারা থাইল্যান্ডে গেছেন তাদের অজানা নয়। আর যারা যাননি তাদের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি নিয়ে এসেছে নানা স্বাদের বিভিন্ন থাই ফলের জুস।

  মালি তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান। যারা শতভাগ নিশ্চয়তাসহ থাইল্যান্ডের আম, আনারস, কমলা, পেঁপে থেকে শুরু করে বিভন্ন ফলের জুস প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে সরবরাহ করছে।

আর বাংলাদেশিদের জন্য সে পণ্য আমদানি করছে রোড টু মার্কেট ইন্টারন্যাশনাল ইম্পোর্টার এবং ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। বাজারে প্রতি লিটার ফলের জুস তিনশ’ ২৫ টাকায় বিক্রি হলেও চারদিনের জন্য তা পাওয়া যাচ্ছে মাত্র আড়াইশ’ টাকায়। দুই বোতল জুস একসঙ্গে কিনলে রয়েছে আকর্ষণীয় একটি টিফিন বক্সও।

আর এ সুযোগ শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় আয়োজিত চার দিনব্যাপী থাই পণ্য মেলা ‘থাইল্যান্ড উইক’-এ দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (১৬ মার্চ) শুরু হওয়া এ থাই পণ্যের প্রদর্শনীতে আরো মিলছে কসমেটিকস, গৃহস্থালি ও খাদ্যপণ্য, ফল, জুতা, স্যান্ডেল, হাতে তৈরি বাহারি সব ব্যাগ, পোশাকসহ আরও নানা উপকরণ।

এছাড়া রয়েছে থাইল্যান্ডের সংস্কৃতির আবহে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এতো সব আয়োজনে শুরু থেকেই এ প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের মন কেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকালে মালি ফ্রুট জুসের স্টলে গিয়ে জানা গেছে, সুগার ফ্রি ও প্রিজারভেটিভ ছাড়াই তৈরি বিভিন্ন ফলের ২৪ ধরনের স্বাদের জুস এখানে পাওয়া যাচ্ছে। আম, কমলা, লিচু, আপেল, পেয়ারা, আঙ্গুর, আনারস- কিসের জুস নেই এখানে? আবার বিভিন্ন ফলের রয়েছে কয়েক স্বাদের জুস। যেমন কাঁচা, আধা পাকা ও পাকা- এ তিন ফ্লেভারের জুস পাওয়া যাচ্ছে কমলার। রয়েছে কালো ও সাদা আঙ্গুরের জুসও।
এছাড়া এসব জুসের আরো একটি প্রকার রয়েছে। যেগুলোতে ৬০ শতাংশ ফলের রসের সঙ্গে ৪০ শতাংশ বিশুদ্ধ নারিকেল পানি মিশ্রিত। তুলনামূলকভাবে সেগুলোর মূল্য কিছুটা কম। প্রতি লিটার দুইশ’ টাকা।

জানা গেছে, আমদানিকারক কোম্পানি বছরে দুইবার থাইল্যান্ড থেকে মালি জুস আমদানি করে থাকে। প্রতিবারে তারা ৫০-৬০ লাখ টাকার জুস নিয়ে আসে।

স্টলের বিক্রেতা সেলিম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মালি জুস দেশে বাংলাদেশে ভীষণ প্রচলিত। চেইন শপসহ বিভিন্ন মার্কেটে এর চাহিদা ব্যাপক। থাই পণ্য মেলা উপলক্ষে এর আরো প্রচারে এই স্টলে এসব জুসের প্রদর্শনী চলছে। শুরুর দিন থেকেই ব্যাপক ক্রেতা চাহিদা টের পাওয়া যাচ্ছে।

স্টলটি থেকে মেলার দর্শনার্থীদের জন্য ফ্রি জুস খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।

সেলিম জানান, জুস পানের পর যাদের ভালো লাগছে তারাই থাইল্যান্ডের ফল থেকে তৈরি এসব জুস সংগ্রহ করে নিচ্ছেন।

আগামী শনিবার (১৯ মার্চ) পর্যন্ত এ থাই সপ্তাহ চলবে। সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকছে এ পণ্য প্রদর্শনী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৬
জেপি/একে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।