ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোশাকের চেয়ে অভিবাসী খাতে আয় বেশি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৬
পোশাকের চেয়ে অভিবাসী খাতে আয় বেশি ছবি: দীপু মালাকার - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তৈরি পোশাক খাতের চেয়ে অভিবাসী খাত ২ বিলিয়ন ডলার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়েছে।

২০১৫ সালে তৈরি পোশাক খাতে ২৫ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে বলা হয়।

কিন্তু তুলা, সুতা, কাপড়, কাঁচামাল ইত্যাদী খাত বাদ দিলে প্রকৃত আয় দাঁড়ায় ১৩ বিলিয়ন ডলার। অথচ একই বছরে অভিবাসন খাতে আয় ১৫ বিলিয়ন ডলার।

শনিবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত বাজেট ও শ্রম-অভিবাসন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এক গবেষণামূলক প্রবন্ধে এসব তথ্য জানায় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি সংগঠন।

প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন সংগঠনটির চেয়াম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অভিবাসন খাতের অবদান বেশি হলেও পৃষ্ঠপোষকতা এখানে কম। গার্মেন্ট খাতে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হলেও প্রবাসীরা পান না।

কিরণ বলেন, প্রতি বছর ৫ লাখ লোক বিদেশে গেলেও ৯০ ভাগ বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষিত নয়। তাই অভিবাসীদের পর্যাপ্ত দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ফিলিপাইন কেবল দক্ষ জনশক্তি রফতানি করে প্রতি বছর ২৬ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। তাই আমাদেরও সে পথেই এগুতে হবে।

আলোচনা সভার আয়োজন করে ডিবেট ডেমোক্রেসি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিচালক (প্রশিক্ষণ)  ড. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ১৫ বিলিয়ন বৈধভাবে আসে। এর বাইরে হাতে হাতে আসে প্রায় ২০ শতাংশ। সব মিলিয়ে অভিবাসীরা গত বছর প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে। সে হিসেবে গার্মেন্ট খাতের চেয়ে এ খাতে আয় অনেক বেশি।

তিনি বলেন, ১ কোটি লোক দেশের বাইরে থাকে। তারা দেশে থাকলে খাবার, পোশাক, অবাসনের যোগান দিতে হত। এতে বেকারত্ব বাড়ত। তাই অভিবাসনের একটা ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে সমাজে।

নুরুল ইসলাম বলেন, প্রশিক্ষণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে তা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। একটা উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। এক্ষেত্রে সৌদি আরব এবং ইউএই তে জনশক্তি পাঠানো জন্য নিয়েছি। এছাড়া সরকার ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দিয়ে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের জন্য রাখা হয়েছে।

তাই প্রশিক্ষণ আন্তর্জাতিক মানের করতে পারলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয় আরো বেড়ে যাবে।

তিনি বলেন, জনশক্তি রফতানির বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক ফোরামে আলোচনা করছি। আমাদের ভাল আইনও আছে। তবে সমস্যা হচ্ছে তা বাস্তবায়ন করা। এজন্য সরকারের পাশাপাশি এনজিও এবং সিভিল সোসাইটির এগিয়ে আসতে হবে। কেউ যদি বুঝতে পারেন, নৌকা দিয়ে ভূমধ্য সাগর পাড়ি দেওয়া যাবে না। তাহলেও অনেক সমস্যা সমাধান হবে।
এখন অভিবাসন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। অনলাইনেই সবকিছু জানা যায়। এমনকি অভিযোগও দেওয়া যায়।

কেয়ার টেকার হিসেবে কেবল নারীরা যাচ্ছে এর জন্য বায়রাকে দায়ী করেন এ সরকারি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বায়রা এ নিয়ে রিসার্চ করলে কোথায় কি ধরণের জনশক্তি পাঠানো যায় জানা যেত।

আলোচনা সভয় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আয়োজক সংগঠনের পরিচালক ড. এসএম মোর্শেদ, ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান খান প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৬
ইইউডি/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।