ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল বন্দরে ৩৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৬
বেনাপোল বন্দরে ৩৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বেনাপোল (যশোর): দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি পণ্যের ওপর ৩৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

 

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকাল ১১টায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার এএফএম আব্দুল্লা খান এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, এর আগে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩১৪৩ কোটি টাকা ঘোষণা করেছিল। পরে বছরের শেষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় পরে তা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ২৮৫০ কোটি টাকা। অবশেষে ৩০ জুন বছর শেষে আদায় হয়েছিল ২৯৪০ কোটি টাকা। এসময় ভারত থেকে আমদানি হয় বিভিন্ন ধরনের ১২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ মেট্রিকটন পণ্য। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় কম হয়েছে ৮০ হাজার ৩৬৫ মেট্রিকটন।

জানা গেছে, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন সমস্যা, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্য পাচার ও আমদানি পণ্যের ওপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অযৌক্তিক হারে শুল্ককর বৃদ্ধিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বাংলানিউজকে জানান, বর্তমান সরকারের আমলে বেনাপোল বন্দরে সবচেয়ে বেশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু সে উন্নয়নও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। বেনাপোল বন্দরের ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার মেট্রিকটন। কিন্তু সেখানে সব সময় পণ্য থাকে প্রায় দ্বিগুণ। বন্দর পণ্যাগারে স্থান সংকটে দিনের পর দিন আমদানি পণ্য নিয়ে ট্রাক চালকদের খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেক সময় জায়গা না পেয়ে এসব মূল্যবান পণ্য অনেকটা নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে খালাস করতে হয়। রোদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে এসব পণ্যের গুণগতমান নষ্ট ও চুরি হচ্ছে। পণ্যের রক্ষণা-বেক্ষণের সমস্যা ও আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা চলে যাচ্ছে অন্য বন্দরে। এতে কমছে আমদানি বাণিজ্য, ঘাটতি হচ্ছে রাজস্ব।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাসের ল্যান্ডপোর্ট সাব কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান জানান, বর্তমানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পণ্যের ওপর ট্যারিফ মূল্যে পণ্য খালাস নির্ধারণ করেছে। এক্ষেত্রে ভারত থেকে কেনা পণ্যের ইনভয়েজ মূল্য মানা হচ্ছে না। প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে শুল্কায়ন করা হলে বৈধ পথে আমদানি কমে সীমান্ত পথে বাড়বে চোরাচালান।

এতে ডলার পাচারেরও সম্ভবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার এএফএম আব্দুল্লা খান বলেন, নতুন বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাস্টমস কর্মকর্তারা চেষ্টা করবে। আমি যোগদানের পর থেকে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আদায়ে আগের চেয়ে অনেক স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে আমদানিকারককে দ্রুত পণ্য খালাসে এখন সবাই আন্তরিক।

তাই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আশাবাদী তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৬
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।