ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নির্ধারিত সময়ের আগেই এসডিজি অর্জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৬
নির্ধারিত সময়ের আগেই এসডিজি অর্জন  ছবি- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে পারবো বলে আশা করছি। যাদের জন্য এ লক্ষ্যমাত্রা তাদের যদি অর্ন্তভুক্ত করতে না পারি তাহলে পিছিয়ে থাকবো।


 
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ১৬’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কথা বলেন।
 
এসডিজি হলো ভবিষ্যত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত একগুচ্ছ লক্ষ্যমাত্রা। জাতিসংঘ লক্ষ্যগুলো প্রণয়ন করেছে এবং ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা’ হিসেবে সেগুলোকে প্রচার করেছে। এর মেয়াদ ২০১৫ থেকে ২০৩০ সাল। এতে মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ও ১৬৯টি সুনিদিষ্ট লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
 
মন্ত্রী বলেন, এমডিজির হাত ধরেই এসেছে এসডিজি। বাংলাদেশ এমডিজিও সবার আগে বেশ ভালোভাবে অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রত্যেক সক্ষম মানুষকে সামাজিক কর্মকাণ্ডে না আনতে পারলে আমাদের জীবন বৃথা হয়ে যাবে।
 
তিনি বলেন, যুব সমাজকে এ কর্মকাণ্ডে অর্ন্তভুক্ত করতে হলে তাদের মন জয় করতে হবে। সবাইকে শিক্ষার আওতায় আনতে হবে। এক সময় মাত্র ৪০ শতাংশ ছেলেমেয়ে স্কুলে যেতো, এখন ৯০ শতাংশ যায়।
 
শিক্ষার মান যথাযথ করতে ও স্বপ্ন দেখাতে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে বড় হলে দেশ উপকৃত হবে। ভালো কিছু করতে পারবে।
 
কামাল বলেন, দেশে ২৯ মিলিয়ন (২ কোটি ৯০ লাখ) বেকার রয়েছে। এদের কাজের সুযোগ করতে মূল সমস্যা গ্যাস ও জ্বালানি।
 
যুব সমাজকে উৎসাহ দিতে হবে। মোটিভেটেড করতে না পারলে যুব সমাজ বিপথে চলে যাবে। কর্মমুখী করার জন্য ভালোবাসা দিতে হবে। দেশের প্রতি মায়া, মমতা ও কর্তব্যবোধ সর্ম্পকে বোঝাতে পারলে যুব সমাজ সুপথে ফিরে আসবে।
 
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দু’টি সমস্যা আছে। একটি অভ্যন্তরীণ, আরেকটি বৈশ্বিক। আমি মনে করি এটি সামগ্রিক বিষয় দ্রুতই বন্ধ হবে।
 
তিনি বলেন টিআর, কাবিখার ৫০ শতাংশ চলে যায় মূল কাজের বাইরে। এজন্য আমরা বলেছি একজন একটির বেশি প্রকল্প পরিচালক যাতে না হতে পারেন।
 
এতে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এসময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির প্রমুখ।

সঞ্চালনা করেন সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৬
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।