ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের হাত থেকে কৃষকদের বাঁচাবে ‘ই-শপ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৬
মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের হাত থেকে কৃষকদের বাঁচাবে ‘ই-শপ’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মেহেরপুরে কৃষক একটি লাউ বিক্রি করেন ৫ থেকে ৬ টাকায়। অথচ একই লাউ ঢাকা শহরে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

উৎপাদক ও ভোক্তাকে লোকসান গুণতে হচ্ছে। কিন্তু লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা।

এদের হাত থেকে বাঁচাতে শুরু হলো অনলাইনে কৃষকের পণ্য কেনাকাটার মাধ্যম ই-শপ। এ ই-শপের মাধ্যমে অনলাইনে উৎপাদক ও ভোক্তার মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করা হবে।

রোববার (৩১ জুলাই) নগরীর আগারগাঁওয়ে গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ই-কমার্স উদ্যোগ হিসেবে ই-শপ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

কর্মসূচিটির আওতায় সর্বমোট এক হাজার উদ্যোক্তাকে ই-শপ পরিচালনার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর আওতায় ৬৪টি জেলায় ই-শপ প্রতিষ্ঠা এবং একটি কেন্দ্রীয় ই-শপ ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে। যার মাধ্যমে ৬৪টি জেলায় সকল পণ্য-সেবা পৌঁছে দেওয়া যাবে।

ই-কমার্স ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য কেনা ও মূল পরিশোধের ব্যবস্থা সংযুক্ত থাকবে। এতে সকল
উদ্যোক্তার ছবি ও পণ্যসহ তালিকা দেওয়া থাকবে।

এ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামের সকল স্বল্প আয়ের মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান করা হবে। এটি সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ব্যবসা সংক্রান্ত সমস্যারও নিরসন করবে।

ই-শপ কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং স্বল্প প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা উন্নত অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করবেন। পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করবে। দেশে-বিদেশে বাজার সম্প্রসারণ এবং ক্ষুদ্র, হস্তশিল্প ও কৃষিভিত্তিক শিল্পকে বিস্তৃত করবে।

কোনো একটি অঞ্চলের সর্বোৎকৃষ্ট পণ্য পাওয়ার জন্য ক্রেতাকে সরাসরি ওই অঞ্চলে যেতে হবে না, অনলাইনে পণ্যটি দেখে কেবল মূল্য পরিশোধের মাধ্যমেই ঘরে বসেই পেতে পারবেন ক্রেতারা।

১২ মাসের মধ্যে ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ করেই ই-শপ কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা দেখেছি, প্রান্তিকের কৃষকের উৎপাদিত পণ্য শহরে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি হয়। ফলে কৃষকও পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন, অন্যদিকে ভোক্তাও লোকসানে পড়েন। মাঝখান দিয়ে লাভবান হন মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা’।

‘ই-শপের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটায় সরাসরি কৃষক ও ভোক্তাদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা হবে। ফলে কৃষক ও ভোক্তারা স্বস্তি পাবেন। কৃষিপণ্য, মাছ, শাড়ি, লুঙ্গি থেকে শুরু করে সকল পণ্যের বড় বাজার হবে ই-শপ’।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন, কর্মসূচির পরিচালক আকতার হোসেন, ফিউচার সলিউশন অব বিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদেকা হাসান সেজুতি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।