ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উৎপাদন খাতের যুবরাই এসডিজি অর্জনের চাবিকাঠি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
উৎপাদন খাতের যুবরাই এসডিজি অর্জনের চাবিকাঠি

ঢাকা: বাংলাদেশের উৎপাদনমুখী খাতে নিয়োজিত যুব সমাজই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের  অন্যতম চাবিকাঠি বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু।

বুধবার (১৫ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩২৯তম গভর্নিং বডির ২০১৮-১৯ সালের বাজেট ও কর্মসূচি উপস্থাপন সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুব সমাজের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি  এবং কাজে নিয়োজিতদের  আরো ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়ে বর্তমান সরকার সচেষ্ট আছে।

তিনি বলেন,  উন্নয়নশীল দেশগুলোসহ সারা বিশ্বে বিপুল পরিমাণ বেকার যুবকদের কর্মহীনতা টেকসই  উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।   এ লক্ষ্য পূরণে যুব সমাজের  গুনগত  শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা এবং বেশি বেশি শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে টেকসই  উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মসংস্থান সৃজন, দক্ষতা বৃদ্ধিতে  প্রয়োজন মতো বরাদ্দ  বাড়ানোকে অগ্রাধিকার  দেওয়ার আহবান জানান চুন্নু।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার এবং যুগ্ম সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে আইএলও সদর দফতরে মহাপরিচালক গাই রাইডারের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে সম্প্রতি গঠিত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের বিষয়ে মহাপরিচালককে অবহিত করেন তিনি।


বৈঠকে  আশুলিয়ার বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি,  ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন  সহজীকরণ, শ্রম আইন সংশোধন এবং  ইপিজেড শ্রম আইনের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরা হয়।

আইএলও’র  মহাপরিচালক গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে স্কিল সামিট আয়োজনের জন্য সরকারের প্রশংসা করেন। ওই সামিটে আইএলও’র পক্ষে মহাপরিচালক নিজেও অংশ নেন।

বৈঠকে আইএলও’র মহাপরিচালক বাংলাদেশের বর্তমান শ্রম পরিস্থিতিতে সন্তোষ  প্রকাশ করে শ্রমমানের উন্নয়নে সংস্থার চলমান সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন।  

মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার, যুগ্ম সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন, জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত  ও জাতিসংঘ সদর দফতরের বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এম. শামীম আহসান, বাংলাদেশ অ্যাম্পোয়ার্স ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও আইএলও গর্ভনিং বডির মালিক প্রতিনিধি কামরান টি রহমান, বাংলাদেশ অ্যাম্পোয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহমেদ এবং আইএলও’র সহকারী মহাপরিচালক  ও এশীয়, প্রশান্ত মহাসাগরীয়  অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক  তোমোকো নিশিমোতো (Tomoko Nishimoto) বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
আরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।