ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিদ্যালয়ে স্কেলেটর স্থাপনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
বিদ্যালয়ে স্কেলেটর স্থাপনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: ৩২৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ ভূমি উন্নয়নে ৪ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

এর মধ্যে ১২৫টি বিদ্যালয়ের বিদ্যমান একাডেমিক ভবন পাঁচতলা ভিতে পাঁচতলা পর্যন্ত ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণ করা হবে।

এসব ভবনের লিফটে বিদ্যুৎ বিভ্রাটসহ নানা কারণে শিক্ষার্থীরা যাতে আটকা না পড়ে- সে লক্ষ্যে স্কেলেটর (চলন্ত সিঁড়ি) স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 
 
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায়  প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লিফটে নানা কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আটকা পড়তে পারে। সুতরাং, এর পরিবর্তে স্কেলেটর করে দিতে হবে। এছাড়া সাধারণ সিঁড়ি ও নিরাপদ এক্সিট করে দিতে হবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
 
একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, অনেক সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে শিক্ষার্থীরা লিফটে আটকা পড়তে পারে। এতে করে নানা ধরণের দুর্ঘটনাও ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এসব কথা চিন্তা করে প্রকল্পের আওতায় ঊর্ধমুখী ভবনে লিফটের বদলে স্কেলেটর স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
 
প্রকল্পের আওতায় হোস্টেল নির্মাণ, কম্পিউটার ও বিজ্ঞান ল্যাবরেটরি স্থাপন, ইন্টারনেট সুবিধাসহ স্মার্ট ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হবে। ফলে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণে উন্নীত হবে।

৩২৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে বিজ্ঞান বিভাগের ৬৮ হাজার ৮৩৯ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১০৫ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এসব স্কুলে বিজ্ঞানের ৭৬ হাজার শিক্ষার্থীসহ নতুন করে ৩ লাখ ২৯ হাজার বাড়তি শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। ঊর্ধমুখী সকল ভবনেই থাকবে চলন্ত সিঁড়ি।
 
এছাড়া একনেক সভায় ‘চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতের কর্মসূচি’ প্রকল্পে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা  অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিসেবা ও সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে এ প্রকল্পের টাকা ব্যয় করা হবে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।  

১ হাজার ৮০৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ’ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।
 
‘গৌরনদী টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ কোটি  টাকা। প্রকল্পের আওতায় একশ’ আসন করে একটি ছাত্র হল ও ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও একাডেমিক ভবন সম্প্রসারিত হবে। এখানকার বর্জ্য যেন নদী দূষণ না করে, সে লক্ষ্যে একটি ইটিপি(এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপনের নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বিসিএসআইআর’র আইএমএমএমে একটি খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাকরণ’ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ‘যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ক (এন-৭০৬) যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৮ কোটি টাকা। ‘বগাছড়ি-নানিয়ারচর-লংগদু সড়কের দশম কিলোমিটারে চেংগী নদীর ওপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৭ কোটি টাকা।

এছাড়া অনুমোদিত ‘ঢাকা শহরে ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মতিঝিলের এজিবি কলোনিতে ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য ৬০৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ‍মার্চ ২১, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।