সোমবার (২৫ জুন) বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সমাবেশ ডেকে মঙ্গলবার (২৬ জুন) সকাল থেকে এই লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। এ সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলেও ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে আবারও পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন
দাবিগুলো- গত ০৩ জুন বেনাপোল বন্দরে অগ্নিকাণ্ডে যে সাতটি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ক্ষতিপূরণসহ অবিলম্বে ট্রাক ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বন্দরে যেসব ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে সেগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করে পুনরায় ফেরত দিতে হবে।
বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালি করতে যেয়ে পণ্য চুরি হলে তার দায়িত্ব ভারতীয় চালক বহন করবে না। বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালি বা চালান সহি করবার ক্ষেত্রে কোনো খরচ চালক বহন করবে না। বেনাপোল বন্দরে পার্কিং ও পণ্য গুদামে সিসি ক্যামেরা এবং চালকের জন্য শৌচাগার ও পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার আবারও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বৈঠক হবে। আশা করছি সেখানে দু’পক্ষের আলোচনায় একটা সমাধানে আসবে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক বলেন, সন্তোষজনক একটি সমাধানের মধ্য দিয়ে আমরা আশা করছি মঙ্গলবার এই সংকটের সমাধান হবে। অন্যথায় তারা এ পথে বাণিজ্য বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির লোকশানের কবলে পড়বেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৮
এজেডএইচ/এএটি