মঙ্গলবার (২৬ জুন) এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ১৬ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা।
‘বাংলাদেশ রেলওয়ে রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন’ প্রকল্পের ব্যয় হবে ৩ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় ৪০টি ইঞ্জিন কেনা হবে। এর পাশাপাশি ৭৫টি মিটার গেজ ও ৬০টি ব্রড গেজ লাগেজ ভ্যান সংগ্রহ করা হবে।
৪০০টি এমজি, ৩০০টি বিজি বগি কার্ভাড ওয়াগন, ১৮০টি এমজি ও ১২০টি বিজি বগি ওপেন ওয়াগন সংগ্রহ করা হবে। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে রেল ইঞ্জিন ও বগি সংগ্রহ করা হবে।
সারা দেশে নির্মাণ হচ্ছে ৫৬০টি মডেল মসজিদ। প্রতিটি জেলা উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এই কাজ চলমান রয়েছে। এক বছর আগে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
এসব মসজিদ নির্মাণে মোট প্রস্তাবিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের অনুদান দেওয়ার কথা।
এক বছর পরেও পাওয়া যায়নি সৌদির সেই সহায়তা। ফলে মূল প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রম এখনও শুরু করা যায়নি। এ কারণে প্রকল্পটি আবারও সংশোধন করা হচ্ছে। প্রকল্পের অধিকাংশ অর্থই সৌদি আরবের কাছ থেকে পাওয়ার কথা। সৌদি সাড়া না দেওয়ায় হতাশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
তবে একনেক সভায় সেই হতাশা দূর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি।
মূল প্রকল্পটি ৯০ শতাংশ সৌদি সরকারের অর্থায়ন এবং ১০ শতাংশ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নের কথা ছিলো। এখন সৌদি আরবের পরিবর্তে সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এপ্রিল ২০১৭ থেকে ২০১৯ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিলো। এখন প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে একনেক।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা কথা দিয়েছি প্রতিটা জেলায় মসজিদ হবে। সৌদি টাকা দিচ্ছে না, তবে প্রকল্পের কাজ থেমে থাকবে না। আমরা নিজস্ব টাকায় পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করতে পারলে নিজের টাকায় ৫৬০টি মডেল মসজিদও নির্মাণ করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ