সোমবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়কর বিবরণী অনলাইনে দাখিল করে মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান।
এসময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য কালিপদ হালদারসহ অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন সম্পত্তি ছিল এক কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬ টাকা। তা বেড়ে ২০১৮ সালে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৯৭ টাকা। গত দশ বছরে আমার মোট সম্পত্তি দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬৭ হাজার ২৩ টাকায়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২২ হাজার ৯২২ টাকার কর বিবরণী অনলাইনে দিলাম।
‘এর মধ্যে বেতন থেকে নেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৩ টাকা। আজ পে অর্ডারের মাধ্যমে দিলাম ৬৮ হাজার ৪৭৮ টাকা। গতবছর আমার মোট আয় হয়েছে ৩৪ লাখ ২৮ হাজার ৩৪১ টাকা। ’
মুহিত বলেন, আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন করদাতার সংখ্যা ছিল ৭ লাখ। এরপর ২০১৫ সালে দাঁড়ায় ১৫ লাখে। আর সেটা গত তিন বছরে দাঁড়িয়েছে ৩৮ লাখে। সে হিসাবে করদাতার সংখ্যা তিন বছরে বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। এটা শিগগিরই এক কোটি ছাড়াবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ -০৮ সালে মানুষ ট্যাক্স দিতে ভয় পেতো। এখন আর সে অবস্থানে নেই। তরুণরা এখন আনন্দের সঙ্গে ট্যাক্স দেয়। এটা সম্ভব হয়েছে ট্যাক্স মেলার জন্য। এজন্য ট্যাক্স মেলা আমার কাছে ভালো লাগে। তরুণরা মনে করে দেশ আমাদের জন্য কাজ করছে। সে কাজে নিজেদের অংশগ্রণকে নিশ্চিত করতে তরুণরা কর দেয়।
তিনি বলেন, আমার একটা দুঃখ ছিল বাজেটের আকার নিয়ে। এখন সেটা অনেক বড় হয়েছে। প্রতি বছরই তা বাড়ছে। জনসেবা বা জন কল্যাণে ব্যয় হলে জন সম্পৃক্ততা বাড়ে।
নির্বাচনের আগে খেলাপি ঋণের রিশিডিউল নিয় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে এটা হলে সরকারের আয় বাড়ে। এছাড়া এ বিষয়টি ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যকার ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
জিসিজি/এএ