বর্তমানে আইনটি আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে চার শতাধিক বাণিজ্য সংগঠন রয়েছে।
নতুন আইনের খসড়া অনুযায়ী, সরকার নিযুক্ত কমপক্ষে একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা মহাপরিচালক হিসেবে বাণিজ্য সংগঠন সম্পর্কিত কাজগুলো সম্পাদন করবেন। আইনের কোনো বিধান বা আদেশ লঙ্ঘন করলে বা আইনের কোনো বিধান বা আদেশ বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তির দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনকে সরকার অনূর্ধ্ব ১ লাখ টাকা এবং ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবে এবং এ আইনের অধীনে দেওয়া কোনো আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা করা যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আইনটির ওপর বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মতামত নেওয়া হয়েছে। তাদের মতামত সাপেক্ষে কিছু পরিবর্তনও আনা হয়েছে। এরপর ভেটিং’র জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাটানো হলে তারা আবার কিছু বিষয় পরিবর্তনের জন্য আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। এখন আমরা এ বিষয়ে সুপারিশ করে আবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। তারা অনুমোদন দিলে শিগগিরই এ আইনটি চূড়ান্ত করা হবে। তবে আইনটি চূড়ান্ত করতে জাতীয় সংসদের অনুমোদন লাগবে।
সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাণিজ্য সংগঠন উইং’র পরিচালকের তত্ত্বাবধানে দেশে বিদ্যমান বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ উইং থেকে বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে লাইসেন্স দেওয়া, লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংগঠনগুলোর সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুযায়ী পরিচালনা নিশ্চিত করা, সংগঠনের ব্যবস্থাপনা যথাযথ না হলে নির্বাহী কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের মতো কার্যক্রম সম্পাদন করা হচ্ছে।
এছাড়া যুক্তিসঙ্গত কারণে কোনো সংগঠন নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হলে কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধিসহ সংগঠনগুলোর অডিট রিপোর্ট, বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী মন্ত্রণালয়ে পাঠানোসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় থেকে সংগঠনগুলোর নির্বাচন পদ্ধতিসহ সব ধরনের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়।
বিদ্যমান বাণিজ্য সংগঠনগুলো বর্তমানে ‘ট্রেড অর্গানাইজেশন অর্ডিন্যান্স’র ১৯৬১’ আওতায় পরিচালিত হয়ে আসছে। এরপর ১৯৮৪ সালে আইনটিতে কিছু সংশোধনী আনা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে জারি হওয়া অধ্যাদেশগুলোকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়। ফলে কার্যকারিতা হারায় ‘ট্রেড অর্গানাইজেশন অর্ডিন্যান্স (সংশোধিত) ১৯৮৪’। পরবর্তীতে বাতিল হওয়া এসব অধ্যাদেশের মধ্যে কয়েকটির আবশ্যিকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনার মাধ্যমে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মতামত নিয়ে বাণিজ্য সংগঠন অধ্যাদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে নতুন আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
জিসিজি/এএটি