ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্রাজিলের সঙ্গে এফটিএ করে রপ্তানি বৃদ্ধি করা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৯
ব্রাজিলের সঙ্গে এফটিএ করে রপ্তানি বৃদ্ধি করা হবে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জো টোবাজারা ডি অলিভেরিয়া জুনিয়র এর সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সাক্ষাৎ

ঢাকা: ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষরের মাধ্যমে ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, ব্রাজিল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনাময় বড় বাজার। ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে।

বিশেষ করে তৈরি পোশাকের সম্ভাবনা বেশি। উচ্চ শুল্কহারের কারণে ব্রাজিলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আশানুরূপ রপ্তানি হচ্ছে না।

সোমবার (০৬ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জো টোবাজারা ডি অলিভেরিয়া জুনিয়র এর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম এবং অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রাজিলের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছে। এসব ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করলে ব্রাজিলের বিনিয়োগকারীরা বেশি লাভবান হবেন।

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মালিক ও এফবিসিসিআই’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে দ্রুত ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো ব্রাজিলের ব্যবসায়ীদের দেখানো দরকার। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা বৈঠকে বসলে বাণিজ্যের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান করা সম্ভব। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা চাইছেন বাণিজ্য শুরু করতে, এখন প্রয়োজন কার্যকর উদ্যোগ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সে উদ্যোগ নেবে। এতে করে জুতা, মাছসহ অনেক পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।

বৈঠকে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে ব্রাজিলে। ব্রাজিলের ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে আগ্রহী। উভয় দেশের মধ্যে এফটিএ সম্পাদনের মাধ্যমে উচ্চ শুল্কহার কামিয়ে বাণিজ্য সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।  

ব্রাজিলের বাণিজ্য মারকোসুর নামে একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য জোটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো-আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ে। এছাড়া বলিভিয়া, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, পেরু ও সুরিনাম এ জোটের সহযোগী সদস্য। পূর্ণ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর জনসংখ্যা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন, গড় মাথাপিছু আয় ১০ হাজার মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, ব্রাজিল আধুনিক পদ্ধতিতে বিশ্ববাণিজ্য করে থাকে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে বাণিজ্য করা সম্ভব। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের বসে কথা বলতে হবে। ব্রাজিলের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সম্পর্কে বেশি অবহিত নয়। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের উদ্যোগী হতে হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য ভালো স্থান। ব্রাজিলের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের চিন্তা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।