ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আগামী বছর সব পণ্য স্ক্যান করে আনা-নেয়া হবে: অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩১ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৯
আগামী বছর সব পণ্য স্ক্যান করে আনা-নেয়া হবে: অর্থমন্ত্রী সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশের পণ্য আমদানি-রফতানিতে স্বচ্ছতা আনতে আগামী বছর থেকে শতভাগ পণ্য স্ক্যান করে আনা-নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের জন্য দু’টি কন্টেইনার স্ক্যানার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৯০ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

স্ক্যানারগুলো রক্ষণাবেক্ষণে দুই বছরের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  

বুধবার (০৮ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এ কথা বলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে মোট ১১টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বছর থেকে মালামাল যা দেশে আসবে-যাবে, তার শতভাগ স্ক্যান করা হবে। এ বিষয়ে আইন করা হবে। চট্টগ্রামে চারটি স্ক্যানার রয়েছে, নতুন দু’টি কেনার পর আরো চারটি লাগবে। সারা দেশে লাগবে আরো চারটি। কি মাল আসছে-যাচ্ছে সব বোঝা যাবে।

তিনি বলেন, আমরা একদিকে যেমন কী যাচ্ছে তা দেখতে পাচ্ছি, পাশাপাশি কী আসবে তা দেখার জন্যেও নিজস্ব উইং ডেভেলপ করছি। সে উইংয়ের সার্টিফিকেট ছাড়া কোনো মাল বাইরে যাবে না। এর মাধ্যমে যা আসবে-যাবে তার দাম যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে পারবো। এ কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য মোট ১৬টি স্ক্যানার লাগবে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য ঢাকার মিরপুরে ৮৩২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৫৪৫ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট সংবলিত সাত ও আট নম্বর ভবন নির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৪ লাখ ৯৩ হাজার। প্রকল্পটির কাজ পেয়েছে বিশ্বাস ট্রেডিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

তিনি বলেন, রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শের-ই-বাংলা নগরে ‘সদর দফতর ও জেলা কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর শক্তিশালীকরণ (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদফতরের দু’টি বেইজমেন্টসহ ১৩তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১১৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের কাজ পেয়েছে বিশ্বাস ট্রেডিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো-

রাশিয়া ফেডারেশন হতে সরকার টু সরকার পর্যায়ে এক লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২২৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চুক্তির আওতায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৩১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি মন্ত্রণালয়।

২০২০ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনসহ এসএসসি ভোকেশনাল স্তরের বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের জন্য ১৮ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কাগজ ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হবে ১৭২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।  

এছাড়া, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ প্রকল্পের (১৯ লাখ ৫০ হাজার  সংযোগের সংস্থানসহ প্রথম সংশোধন) লট নম্বর ১.৫-এর আওতায় তিনটি করে মোট পাঁচটি সাব-স্টেশন নির্মাণের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ১৫টি সাব-স্টেশনের মাধ্যমে ৯৭ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হবে। প্রকল্পের কাজ পেয়েছে এনার্জি প্যাক। বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় বাস্তবায়িত হবে এ প্রকল্প।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৯
জিসিজি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।