ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইফতারে প্রশান্তি গ্রীষ্মের রসালো ফলে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৯
ইফতারে প্রশান্তি গ্রীষ্মের রসালো ফলে মিষ্টি স্বাদের গ্রীষ্মের রসালো ফল। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: রোদ আর ভ্যাপসা গরমের মধ্যেই দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সিয়াম সাধনা। এমন দূর্বিষহ পরিবেশেও বাজারে আসা মিষ্টি স্বাদের গ্রীষ্মের রসালো ফল দিয়ে তৃপ্তির সঙ্গেই ইফতার করছেন রোজাদাররা।

সেহরিতেও বাদ যাচ্ছে না এসব ফল। দুধ-কলা আর আম মিশিয়ে খেতে ভুল করছে না তারা।

বৈশাখের শেষদিকে মধুমাসের আগমনী বার্তায় মধুময় হয়ে উঠেছে এবারের রমজান।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) ফেনী শহরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে উঠেছে বিভিন্ন জাতের রসালো গ্রীষ্মের রসালো ফল। দাম কিছুটা বেশি হলেও ক্রেতারা তা কিনে নিয়ে যাচ্ছে বাসায় কিংবা যেকোনো ইফতারির আয়োজনে।

শহরের ট্রাংক রোড় গিয়ে দেখা গেলো আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, জামরুল, তালের শাঁস, উন্নত জাতের ফেয়ারা বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন জাতের আম বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকায়। আনারস প্রতি হালি ১শ টাকা থেকে শুরু করে ১১০ টাকায়, জাম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকায়, কাঁঠাল মাঝারি সাইজের ১শ ৫০ টাকা, লিচু প্রতিশ ২৫০ টাকা, তরমুজ ১ থেকে ২শ টাকা, ডেউয়া প্রতি হালি ৫০ টাকা, এছাড়াও দেশীয় জাতের কলা পাওয়া যাচ্ছে প্রতি ডজন ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০, জামরুল ৬০ থেকে ১শ টাকায়।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ফলের দোকানে, ফুটপাতে, অলিগলিতে শুধুমাত্র আম-জাম ও কাঁঠাল-আনারসের ডাক  শোনা যায়। মধুমাসের নানান ফল নিয়ে ফেরিওয়ালারাও মাথায় করে, ঠেলা-ভ্যানগাড়িতে বিক্রি করছেন। অনেকে আছেন যারা সারাবছরে শুধু এই মধুমাসেই রসালো ফল বিক্রি করে আনন্দ পান। জৈষ্ঠ্য মাস না এলেও মধুমাসের আবহ বিরাজ করছে ফেনীর ফলের বাজারগুলোতে।

ফেনী শহরের ট্রাংক রোড়ে ফল কিনতে আসা আবদুল আব্বাস হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, দুধ-কলা ও চিড়া আর আমের রসে মজাদার এক খাবার দিয়ে পরিবারের ইফতারি শুরু করেন তিনি। এরপর চলে একটার পর একটা ফল খাওয়া।

আবদুল আব্বাস হোসেন বলেন, এবারের গরমে রোজা হলেও গ্রীষ্মের সুস্বাদু ফল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তাই তৃপ্তির সঙ্গেই ইফতার করা যায় এসব ফল দিয়ে।

তিনি আরও বলেন, বাজারে মৌসুমী ফল পাওয়া গেলেও দাম কিন্তু সস্তা নয়। তাই তো চড়া দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে মৌসুমী এসব। অথচ এ সময়টাতে ফলের দাম আরও কম থাকার কথা ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।