ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৬৮ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৯
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৬৮ শতাংশ ...

ঢাকা: এক বছরের ব্যবধানে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। ২০১৮ সালে দেশে প্রকৃত বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের চেয়ে ৬৮ শতাংশ বেশি। ২০১৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো ২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ড প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮  সালে প্রত্যক্ষ মোট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।

এ সময়ে ১ হাজার ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে আবিভূর্ত হয়েছে চীন। এসব অর্থের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করেছে ৮৩৪ কোটি ডলার। এছাড়াও নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও আর্থিক খাতে ১১৩ কোটি ডলার, বস্ত্রখাতে ৪০ কোটি, ব্যবসা খাতে ১৫ কোটি ও অন্যান্য খাতে ১৮ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে চীন।  
 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডস মোট ৬৯২ কোটি ডলার বিনিয়োগ করলেও খাদ্যে বিনিয়োগ করেছে ৬শ’ ৮ কোটি ডলার, যুক্তরাজ্য বিনিয়োগ করেছে ৩৭১ কোটি ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ১৭৪ কোটি, সিঙ্গাপুর ১৭১ কোটি, হংকং ১৭০ কোটি, ভারত ১২১ কোটি, নরওয়ে ১০৮ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে।

এছাড়াও মালয়েশিয়া ৯৩ কোটি, উত্তর কোরিয়া ৭৩ কোটি, মরিশাস ৬৮ কোটি, শ্রীলঙ্কা ৬১ কোটি, জাপান ৫৮ কোটি, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫৬ কোটি, তাইওয়ান ৫২ কোটি, সুইজারল্যান্ড ৪৯ কোটি, বিট্রিশ ভার্জিন আইসল্যান্ড ৪৪ কোটি, বারমুডা ৩৭ কোটি, জার্মানি ২৬ কোটি, সুইডেন ২২ কোটি ও অন্যান্য দেশগুলো মিলে বিনিয়োগ করেছে ১৩৭ কোটি ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৫ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৯২ মিলিয়ন ডলার, ২০০৮ এসে ১ বিলিয়ন অতিক্রম করলেও ২০০৯ সালে আবারও ১ বিলিয়নের নিচে নেমে যায়। ২০১১ সাল থেকে বিনিয়োগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সাল শেষে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে  পৌঁছেছে।

প্রতিবেদন বলছে, সমমূলধন হিসেবে পাওয়া বিনিয়োগ ২০১৭ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি অর্জিত হয়েছে, পুনঃবিনিয়োগখাত ও গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। ২০১৭ সালের মত ২০১৮ সালেও সর্বোচ্চ বিনিয়োগ এসেছে বিদ্যুৎখাতে, পরের অবস্থানে রয়েছে খাদ্য ও বস্ত্র খাত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।