ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ততা বাড়ছে দর্জিদের 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ততা বাড়ছে দর্জিদের  কাপড় সেলাইয়ে ব্যস্ত কারিগররা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঈদ মানে আনন্দ। আর এ আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় নতুন পোশাক। তাই তো ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসে, মার্কেটের পাশাপাশি মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে দর্জিদের দুয়ারেও। এবারের ঈদুল ফিতর ঘিরেও এর ব্যতয় ঘটেনি। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মনের মতো ডিজাইনের পোশাক বানাতে মানুষেরা ভিড় করছেন দর্জিপাড়ায়। গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে কাপড় হাতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে কারিগরদের।

শনিবার (১১ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর নিউ মার্কেট, চাঁদনি চক, ইস্টার্ন মল্লিকা, হাতিরপুল, ইস্টার্ন প্লাস, মৌচাক, মালিবাগের দর্জিপাড়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।

টেইলার্সের কাটিং মাস্টাররা বলছেন, কাজের অর্ডার এখন পর্যন্ত ভালো।

দুই-তিনদিন পর অর্ডার আরও বাড়তে পারে। তাদের কাজ চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পোশাক সরবরাহ করতে ২০ রমজানের আগেই অর্ডার নেওয়া বন্ধ করবেন তারা।

ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের মোহনা টেইলার্সের কারিগর টিপু সুলতান বাংলানিউজকে বলেন, গতবারের মতো এবারও আমাদের অর্ডার বেশি। পোশাক সরবরাহ করতে আমরা চাঁদরাত পর্যন্ত কাজ করবো।

রুমনী টেইলার্সের কাটিং মাস্টার মো. জসিম বাংলানিউজকে বলেন, কাজের অর্ডার ভালোই আসছে। এভাবে কাজ চললে ২০ রোজার আগেই আমরা অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দেবো। তার মতে, সব কিছুর দাম বাড়লেও মজুরি আগের মতোই আছে।

তবে অনেক টেইলার্সই ক্রেতা খরায় ভুগছে। তাদের কাজের ব্যস্ততা বছরের অন্য দিনের মতোই। তাদের অভিযোগ, পাড়া-মহল্লার মধ্যে অসংখ্য টেইলার্স গড়ে ওঠায় আশানুরূপ ক্রেতার দেখা মিলছে না।

ক্রেতার অভাবে বসে থাকতে হচ্ছে অনেক কারিগরকে।  ছবি: বাংলানিউজ

নিউ মার্কেটের গুলবাগ টেইলার্সের আতিকুর বাংলানিউজকে বলেন, একসময় আমরা পহেলা রমজান থেকে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিতাম। এখন আর আগের মতো ক্রেতা আসে না। বছরের অন্য দিনের মতোই কাজ চলছে আমাদের।

এসব টেইলার্সে প্রতি পিস প্যান্ট সেলাই ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, শার্ট ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, সালোয়ার কামিজ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, ব্লাউজ ৫০০ টাকা, ব্লাউজ (সুতি) ৪০০ টাকা, পেটিকোট ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, ম্যাক্সি ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, গাউন ৬০০ থেকে ১৫০০ টাকা, বোরকা ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে শার্ট-প্যান্ট ফিটিং ও রিপু করতে মহাব্যস্ত সময় পার করছেন নিউ মার্কেট এলাকার চন্দ্রিমা মার্কেট, সাইন্সল্যাব, গুলিস্তান, পল্টন ও মৌচাক মার্কেটের কারিগররা।

প্যান্ট-শার্ট ফিটিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা।  ছবি: বাংলানিউজ

চন্দ্রিমা মার্কেটের কারিগর সাইদুল বাংলানিউজকে বলেন, এখানে রিপু বা ফিটিং করার কাস্টমার সবসময় থাকে। তবে রোজা এলে কাস্টমার বেড়ে যায় অনেক। এবারও ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

এসব মার্কেটে শার্ট ফিটিং ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, পাঞ্জাবি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, প্যান্ট কাটিং ৭০ থেকে ১২০ টাকা, প্যান্ট ফিটিং ১০০ থেকে ২০০ টাকা, প্যান্ট রিপু করতে ৪০ থেকে ৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
ইএআর/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।