ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভুটান জয় করে ভারতে সৈয়দপুরের তৈজসপত্র

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
ভুটান জয় করে ভারতে সৈয়দপুরের তৈজসপত্র ভুটান জয় করে ভারতে সৈয়দপুরের তৈজসপত্র। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভুটানের পর এবার ভারত জয় করেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে তৈরি গৃহস্থালী তৈজসপত্র। শিল্প পরিবার নোয়াহ্ গ্রুপের রয়েল্যাক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি প্রেসার কুকার, ননস্টিক, ফ্রাইপ্যান, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম তৈজসপত্র এখন রফতানি হচ্ছে ভারতে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি মহানগরে খোলা হয়েছে ওইসব পণ্যের প্রদর্শনী (শোরুম) ও বিক্রয়কেন্দ্র।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিবেশী দেশ ভুটানের বাজারে নিয়মিত রফতানি হচ্ছে নোয়াহ্ গ্রুপের পণ্য। চলতি বছরের শুরু থেকে ভারতেও রফতানি হচ্ছে এখানকার উৎপাদিত পণ্য।

ভারতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে নোয়াহ্'র পণ্য। ফলে পশ্চিমবঙ্গের ২য় বৃহত্তম মহানগর শিলিগুড়ির সেবক রোডে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে স্থাপন করা হয়েছে নোয়াহ্ পণ্যের বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এটি উদ্বোধন করা হয়।

ভারতে নোয়াহ্ পণ্যের রফতানির প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে ওই শিল্প পরিবারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজকুমার পোদ্দার বাংলানিউজকে জানান, ইতোপূর্বে ভারতীয় তৈজসপত্র ছেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের বাজার। পরে তৈজসপত্র তৈরিতে আমরা সক্ষমতা অর্জন করেছি। দেশের বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এখন উন্নতমানের প্রেসার কুকার, ননস্টিক, ফ্রাইপ্যান ও অন্যান্য তৈজসপত্র তৈরি করছে। .তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে কোলকাতা ও দিল্লীতে আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় নোয়াহ্ গ্রুপ অংশ নেয়। সেখানে লক্ষ্যণীয় ছিল ভারতীয় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ভারতীয় গৃহিণীরা আমাদের স্বাগত জানিয়েছেন। ফলে তাদের বাজারে প্রবেশ করা সহজতর হয়েছে।
 
রাজকুমার পোদ্দার আরও জানান, এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন শুধু গার্মেন্টস নয়, অন্যান্য পণ্যও রফতানি করতে চাই আমরা। প্রধানমন্ত্রীর ওই কথায় আমরা উৎসাহ পেয়েছিলাম। নোয়াহ্ চলতি বছরের শুরু থেকে একটি করে চালান পাঠিয়েছে ভারতে। এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ৫০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। দিন দিন চাহিদা বাড়ছে তাই রফতানিও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী।

সরেজমিনে কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় কারখানায় গেলে দেখা যায় ১২টি ইউনিটে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। তৈরি হচ্ছে প্রেসার কুকার, অ্যালুমিনিয়াম হাড়ি-পাতিল, ননস্টিক, ফ্রাইপ্যান, গ্যাসের চুলা আরও কত কী? কোম্পানিটিতে ৮০০ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন। এর অর্ধেকেই নারী। .  রয়েল্যাক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মাহমুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে আমাদের প্রতিদিন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৬০০ প্রেসার কুকার, ৫০০ ননস্টিক ফ্রাইপ্যান, এক হাজার তৈজসপত্র। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনও বাড়ানো সম্ভব। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চীন থেকে নিম্নমানের তৈজসপত্র আমদানি করে ভারতীয় হাওকিন ও প্রেস্ট্রিজ প্রেসার কুকারের স্টিকার লাগিয়ে বাজারজাত করছেন। এতে করে দেশীয় শিল্প হুমকির মুখে। প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতা সাধারণ। অবৈধ এসব পণ্যের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।