ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদে দুঃস্থদের জন্য ১৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
ঈদে দুঃস্থদের জন্য ১৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ ভিজিএফের চাল বিতরণ (ফাইল ফটো)

ঢাকা: রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) আওতায় অতিদরিদ্র, অসহায় ও দুঃস্থ ব্যক্তি বা পরিবারকে বিনামূল্যে ১৫ কেজি করে চাল দেবে সরকার।

উপজেলা ও পৌরসভা ওয়ারি বন্যাক্রান্ত, দুঃস্থ ও অতিদরিদ্র ব্যক্তি বা পরিবারকে এ ভিজিএফ খাদ্যশস্য সহায়তা দিচ্ছে সরকার।

২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে রমজান মাস ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯৩টি উপজেলায় এবং ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ ক্যাটাগরির ৩২৯টি পৌরসভার অতিদরিদ্র ও অসহায় দুঃস্থ পরিবারের জন্য ১৫ কেজি করে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

এ লক্ষ্যে উপজেলাগুলোর জন্য ১ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন এবং পৌরসভাগুলোর জন্য ১৮ হাজার ২৯৯ দশমিক ৪৭৫ মেট্রিক টনসহ মোট ১ লাখ ৫০ হাজার ২৯৯ দশমিক ৪৭৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বরাদ্দপত্র জারি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর।
 
এতে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকরা ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যকে অবহিত করবেন। ডিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আদমশুমারি ২০১১’র জনসংখ্যা অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বরাদ্দ করা ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পুনঃবিভাজন করে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। তবে সাম্প্রতিক বন্যায় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ ও অতিদরিদ্রকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

পাশাপাশি বরাদ্দপত্রে অতিদরিদ্র চিহ্নিত করতে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে চারটি পূরণ করে এমন ব্যক্তি বা পরিবারকে দুঃস্থ বলে গণ্য করে সহায়তা দিতে হবে।

শর্তগুলো হলো- যাদের ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই, যে পরিবার দিনমজুরের আয়ের ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে নারী শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে উপার্জনক্ষম পূর্ণ বয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো সম্পদ নেই, যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী, যে পরিবার কোনো ক্ষু্দ্রঋণ পায়নি, যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য বা অর্থ সঙ্কটে পড়েছে এবং যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দু’বেলা খাবার পায় না।
 
বরাদ্দপত্রে চাল বরাদ্দের শর্ত বলা হয়েছে, তালিকা এমনভাবে করতে হবে যেন একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ না পায়। বরাদ্দ করা খাদ্যশস্য আগামী ৩ জুনের মধ্যে উত্তোলন করতে হবে এবং ঈদের আগেই বিতরণ কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭০ শতাং নারীকে অন্তর্ভুক্ত নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট জেলা পুনর্বাসন কর্মকর্তা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা দায়ভার বহন করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।