ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদের কেনাকাটা: ভিড় বেশি, বিক্রি কম!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
ঈদের কেনাকাটা: ভিড় বেশি, বিক্রি কম!

সাভার (ঢাকা): শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকসহ অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন ঈদ কেনাকাটা করতে। তাই সাভারের শপিংমল ও মার্কেটের দোকানগুলো ছিল মানুষে পরিপূর্ণ। তবে শপিংমলগুলো মানুষে পরিপূর্ণ থাকলেও বিক্রি কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

শুক্রবার (২৪ মে) ছুটির দিন দুপুরে সাভারের জনপ্রিয় শপিংমল সিটি সেন্টার, নিউমার্কেট, রাজ্জাক প্লাজা, অন্ধ মার্কেটসহ বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে এমনই দৃশ্য দেখা যায়।

শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভিড়।

কেউ কিনছেন আবার কেউ দেখে চলে যাচ্ছেন। তবে মার্কেটগুলোর ভেতরে মানুষের চলাচলের চিত্রটাই বেশি চোখে পড়েছে। ঈদের আর বেশি দিন বাকি না থাকায় ছেলে-মেয়েদের কাপড়, জুতা ও প্রসাধনীসহ বিভিন্ন পণ্য দিয়ে শপিংমলগুলো একদম ঢেলে সাজানো হয়েছে।

শপিংমলগুলোতে ভিড় বেশি, বিক্রি কম হচ্ছে বলে জানান সিটি সেন্টারের পোশাক ব্যবসায়ী অনিক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার দুপুর থেকেই ভিড় বেশি, কিন্তু বিক্রি কম হচ্ছে। এবারের ঈদে পোশাকের দাম গতবছরের থেকে খুব একটা বাড়েনি। আমার এখানে ছেলে-মেয়েদের প্রায় সব ধরনের পোশাকই পাওয়া যায়। এখানে একেটি থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে শুরু করে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। ক্রেতারা দেখছেন আর চলে যাচ্ছেন। তবে তুলনামূলক অনেক কম কিনছেন।

সাভার নিউমার্কেটের জুতার দোকানি আকরাম বাংলানিউজকে বলেন, সব ধরনের জুতাই বিক্রি করছি। ঈদ উপলক্ষে তিনদিন আগে আরও ভালো ভালো নতুন মডলের জুতা তুলেছি দোকানে। ভেবেছিলাম বেচা-বিক্রি ভালোই হবে। রোজার ১৭ দিন চলছে। এখন ভালো বিক্রি হওয়ার কথা, কিন্তু সেটা হচ্ছে না। গত বছর এসময়ে অনেক বেশি বিক্রি হয়েছে।
সাভারের বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটের চিত্র।  ছবি: বাংলানিউজ
সাধ্যের মধ্যে দাম থাকলেও গত বছরের চেয়ে এবার বিক্রি কিছুটা কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেশিরভাগ বিক্রেতা।

এবার কম বিক্রি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে অন্ধ মার্কেটের ব্যবসায়ী আলামিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ এলাকা পোশাক কারখানায় ভরপুর। তাই এখানের মানুষ প্রায় সবাই পোশাক খাতের সঙ্গে জড়িত। পোশাক কারখানাগুলোর বেতন-বোনাস এখনো হয়নি। সে কারণে হয়তো অনেকেই দেখে যাচ্ছেন। হয়তো পরে এসে কিনবেন। এছাড়া কয়েকদিন ধরে অসহনীয় গরম পড়েছে। এ গরমে কেউ বাইরে বের হতে চায় না।

বিশেষ করে মেয়ে এবং শিশুদের পোশাকের দোকানগুলোতে বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কিনছেন আবার কেউ দেখে চলে যাচ্ছেন।

আশুলিয়ার পলাশবাড়ী থেকে বান্ধবী মিমকে নিয়ে সাভারের সিটি সেন্টারে এসেছেন কলেজছাত্রী আয়শা আক্তার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় বন্ধবীকে নিয়ে ঈদের কিছু কেনাকাটা করতে এলাম। জুতা ও কিছু কসমেটিকস কিনব। অনেক স্টল ঘুরেছি। কোনো কসমেটিকসের দাম কম, আবার কোনোটার দাম একটু বেশি। খুব একটা বাড়াবাড়ি কিছু মনে হয়নি। তাই দেখে-শুনে কেনাকাটা শেষ তরে সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরব।

অন্যদিকে দেখা গেছে কেনাকাটা শেষে ক্লান্ত হয়ে মার্কেটের ভেতর সিঁড়ির রেলিংয়ের সঙ্গে হেলান দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন অনেকেই। আর কেউ কেউ কিনে নিচ্ছে লটারি টিকিট। তাছাড়া বিভিন্ন দোকানে ভিড় চোখে পড়ার মতো। তবে ধীরে ধীরে জমে উঠছে এবারের ঈদ বাজার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।