ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘সরকারের ধারাবাহিকতায় দরিদ্র-মধ্যবিত্তের উপকার হয়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
‘সরকারের ধারাবাহিকতায় দরিদ্র-মধ্যবিত্তের উপকার হয়’ বাজেট পরবর্তী আলোচনা সভায় অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে সব কিছু ভালো হয়। এর ফলে দরিদ্র-মধ্যবিত্তের উপকার হয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে বাজেট পরবর্তী এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, আমরা ধারাবাহিকতা ভালোবাসি।

আমাদের সরকারের ধারাবাহিকতা আছে। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে সবার উপকার হয়। এতে মধ্যবিত্তের উপহার হয়, উচ্চবিত্তেরও আনুপাতিক হারে উপকার হয়। শুধু আওয়ামী লীগের ধারাবাহিকতার কথা বলছি না, সামাজিক ধারাবাহিকতারও কথা বলছি, আইনের শাসনের ধারাবাহিকতার কথা বলছি।

এনবিআর প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছি। সুতরাং, এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) সঙ্গে কাজ করেছি। এখানে প্রচুর রিফর্ম (সংশোধন) করা দরকার। তবে, বলা সহজ, করা কঠিন।

বাজেটের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা দেখছি জেন্ডার বাজেট, শিশু বাজেট ও জেলা বাজেট। এটা কেন করতে হবে? একটাই বাজেট হবে দেশের সব মানুষের জন্য। আমরা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিই। এসব প্রকল্পে নারী ও শিশুর উন্নয়নে নানা খাত থাকে। তাহলে আলাদা বাজেট কেন থাকতে হবে? জেলা বাজেট কী? আমাদের বাজেট কি জেলার বাইরে বাস্তবায়িত হয়? মুহিত সাহেবকে (সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত) বলেছিলাম, স্যার, এগুলো বাদ দেন। এগুলো সংশোধন করা দরকার।

মন্ত্রী বলেন, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাইভেট খাত আসছে। বড় সাহেবরা বড় কিছু করতে চাইলে আমরা স্বাগতম জানাবো। বৈষম্য নিয়ে অনেক কথা হয়। আমরা এটা দূর করতে কাজ করছি।

দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, আমি অংক কষে কিছু বলছি না। সরাসরি গ্রামে গিয়ে দেখেছি, অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এ সরকারের হাত ধরে দারিদ্র্য দূর হচ্ছে। বর্তমান সরকার দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে সরাসরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে সরকার নানা কাজ করছে।

ব্যাংক খাতের সংস্কারে ব্যাংকিং কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যাংকিং কমিশনের দরকার নেই। এ কমিশনের মাধ্যমে বলা হবে, গাড়ি দাও, বাড়ি দাও, টাকা দাও। এতে তাদের চাকরি ছাড়া কিছুই হবে না। এ কমিশন সম্বন্ধে আমার ডাউট (সংশয়) আছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আইএমইডি ( পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ) আমার আওতায় আছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। তবে, এখানে একটা ভুল তথ্য আছে। সেটা হলো, অর্থনৈতিক গ্যাপ থাকে। কাজের বাস্তবায়ন হলেও অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেরিতে বিল পান। ফলে, আর্থিক দিক থেকে আমরা পিছিয়ে থাকি। আবার, এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) সংশোধন করা হয়। তাই বলবো, এডিপি নয়, সংশোধিত এডিপি হিসাব করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
এমআইএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।