ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিআইপি কার্ড পেলেন ১৮২ ব্যবসায়ী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
সিআইপি কার্ড পেলেন ১৮২ ব্যবসায়ী বাণিজ্য মন্ত্রীর কাছ থেকে সিআইপি কার্ড গ্রহণ করা হচ্ছে/ছবি- শাকিল

ঢাকা: রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৩৬ জন ব্যবসায়িকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি রপ্তানি)  ও ৪৬ জন ব্যবসায়িকে সিআইপি ট্রেড কার্ড দিয়েছে সরকার।

২০১৭ সালের জন্য তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে।  

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের হাতে কার্ড তুলে দেন প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

এসময় তিনি বলেন, ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আপনাদেরকেই পূরণ করতে হবে। আপনাদের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই দেশকে। এবছর ১৮২ জন ব্যবসায়িকে সিআইপি কার্ড দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি সংখ্যক ব্যবসায়ীকে দেওয়া হবে। তবে দেওয়ার জন্য রপ্তানির পরিমাণ ও গুণগতমান বিবেচনা করতে হবে।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মুক্তির লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা সেই লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছি।

বিশেষ অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, একটা সময় আমরা ১০ মিলিয়ন টন চা উৎপাদন করে ৮ মিলিয়ন টন রপ্তানি করতাম। আমাদের চা খাওয়ার লোক ছিল না। এখন আমরা উল্টো ৮৫ মিলিয়ন কেজি চা আমদানি করি। কারণ আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, সবাই চা খায়। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। এই অবস্থানে ব্যবসায়ীরাই নিয়ে এসেছেন।  

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফরউদ্দীন বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে আমাদের পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে গুণগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি প্রযুক্তি ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। চীন, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন নতুন বাজার ধরতে হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রীর কাছ থেকে সিআইপি কার্ড গ্রহণ করা হচ্ছে/ছবি- শাকিল
এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে এফবিসিসিআই বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সিআইপি কার্ড প্রাপ্ত সালাম মুর্শেদী বলেন, সিআইপি কার্ড দেওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যবসায়ীদের আপডেট তথ্য থাকে না। তবে কাঙ্ক্ষিত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।  

ব্যবসায়ী প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য সুসংহত করার জন্য পণ্যের মান সনদ গ্রহণ করা প্রয়োজন। রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বেসরকারি খাতকে আরও সহায়তা করতে হবে। আর্ন্তজাতিক বাজারে স্বাস্থ্য সেবা রপ্তানি বাড়ানোর জন্য এখাতে প্রশিক্ষণে সরকারকে সহায়তা বৃদ্ধি করতে হবে।  

সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, সিআইপি কার্ডের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য নীতিমালা সংশোধনের কাজ চলছে। আশা করছি আগামী বছর থেকে আরও বেশি সংখ্যক ব্যবসায়ীকে এই কার্ড দেওয়া যাবে।  

স্বাগত বক্তব্যে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা ইয়াসমিন, পাট, প্লাস্টিকসহ নতুন নতুন পণ্য রপ্তানি বাড়াতে সরকার বেসরকারি উদ্যোগের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।