ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিয়ম মেনেই বগুড়ায় টাকা ধ্বংস করা হয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
নিয়ম মেনেই বগুড়ায় টাকা ধ্বংস করা হয়েছে কুচি কুচি করা টাকা

ঢাকা: এতদিন ছেঁড়া-ফাটা ব্যাংকনোট পুড়িয়ে ধ্বংস করা হলেও চলতি বছরের মে মাস থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে সেগুলো ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিসের উদ্যোগে ২৪০ বস্তা বাতিল নোট কেটে ফেলে দিয়েছে স্থানীয় পৌরসভা।

চলতি বছরের ৩০ মে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, এখন থেকে সারাদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা বাতিল নোট সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে ধ্বংস করা হবে। আগে বাংলাদেশ ব্যাংক পুড়িয়ে ধ্বংস করতো।

এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি নিয়েই বগুড়া অফিস সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ২৪০ বস্তা ছেঁড়া-ফাটা ব্যাংকনোট ধ্বংস করেছে। ধ্বংস করার আগে এসব টাকা বগুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সংগ্রহ করেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের মুদ্রা বিনিময় কার্যক্রম সচল রাখার উদ্দেশ্যে নোট ছাপানো, প্রচলন ও বিতরণ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি অপ্রচলনযোগ্য এবং বাতিল নোট ধ্বংস করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকনোটগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে পুরনো হয়ে ছিঁড়ে ও ফেটে যায়। এতোদিন ছেঁড়া-ফাটা নোট পুড়িয়ে ধ্বংস করা হলেও এখন থেকে সিটি করপোরেশনের উন্নত মেশিনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরা আবর্জনায় পরিণত করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, বিশ্বের অন্যদেশের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকও পরিচ্ছন্ন নোট প্রচলন নীতি অনুসরণ করায় আগের তুলনায় বেশি পরিমাণে ছেঁড়া-ফাটা, ময়লা ও পুরাতন নোট বাজার থেকে তুলে নিতে হচ্ছে।

নোট ধ্বংসের পরিমাণও আগের তুলনায় বেড়েছে। পরিবেশবান্ধব নোট ধ্বংসকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণের লক্ষ্যে অপ্রচলনযোগ্য ও বাতিল নোট চুল্লিতে পুড়িয়ে ধ্বংসকরণ কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে কমিয়ে পরিবেশবান্ধব উন্নতমানের শ্রেডিং মেশিনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরায় পরিণত করে আবর্জনা হিসেবে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ব্যাংকিং) সরকার আল ইমরান বলেন, পরিবেশ দূষণরোধে বগুড়ার শাজাহানপুরে উদ্ধার হওয়ার পার্চিং (কেটে ফেলা) টাকাগুলো না পুড়িয়ে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বগুড়া অফিসে এক হাজার ৭শ বস্তা বাতিল নোট ছিল। এগুলো চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর বগুড়া পৌরসভাকে দেওয়া হয়েছে। তারা সোমবার ২৪০ বস্তা নোট ধ্বংস করেছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে ধ্বংস করা হবে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের জালশুকা খাউড়া ব্রিজ সংলগ্ন খালপাড়ে বিপুল পরিমাণ কুচি কুচি টাকা দেখে সেগুলো কালো টাকা বলে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজন কয়েক বস্তা টুকরো টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে থেকে আলামত হিসেবে পুলিশ দুই বস্তা ও র‌্যাব এক বস্তা টুকরো টাকা নিয়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।