এজন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সিলেট চেম্বার অব কমার্স।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও গ্যাস সংযোগের অপ্রতুলতায় শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ার দিক তুলে ধরা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ সিলেট অঞ্চল শিল্পখাতে অত্যন্ত সম্ভবানময়। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও গ্যাস সংযোগের অপ্রতুলতার কারণে সিলেটে শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি জনগণও ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন।
বিষয়টি বিবেচনা করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়- বিগত ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট বিভাগের বিদ্যুৎখাতের উন্নয়নে বিশেষ করে সেলস ও ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগে ২ হাজার ৫২ কোটি টাকা একনেকের সভায় অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সিলেট জেলার বিদ্যুৎ খাতে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে না।
এর আগে যে কাজগুলো করা হয়েছে, তা সবই নিম্নমানের। কোনো কাজই পরিপূর্ণভাবে শেষ হয়নি। এছাড়াও অতিরিক্ত বিল ইস্যু, ঘনঘন লোডশেডিং, রাত ১টার পর ভোল্টেজ কমে যাওয়া এবং অসাধু কর্মকর্তাদের দৌরাত্মে সিলেটের বিদ্যুৎ বিভাগ বিপর্যস্ত।
বিশেষ করে দেখা যায়, কোনো এলাকার একটি বাড়িতে বা ভবনে বিদ্যুৎজনিত কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে পুরো মহল্লাকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এ বিষয়ে সিলেট চেম্বারের চিঠিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
এছাড়াও সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পখাতকে এগিয়ে নিতে বাণিজ্যিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সহজে গ্যাস সংযোগ ও গ্যাসের ক্যাপাসিটি বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।
সিলেট চেম্বারের চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যুৎখাত জনজীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। এ খাতের উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু এখানে দুর্নীতি আর অনিয়ম বন্ধ করতে না পারলে জনসাধারণের ভোগান্তি কমবে না। তাই দুর্নীতি বন্ধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
এনইউ/আরবি/
.jpg)
