ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রণোদনা প্যাকেজ: ব্যাংক এমডিদের সঙ্গে বৈঠক ৭ মে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২০
প্রণোদনা প্যাকেজ: ব্যাংক এমডিদের সঙ্গে বৈঠক ৭ মে

ঢাকা: করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার ইতোমধ্যে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। প্যাকেজের সঠিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইওদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৭ মে) ভার্চুয়াল এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। 

মঙ্গলবার (৫ মে) অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানায়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ তদারকির অংশ হিসেবে সঠিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণ ও বাস্তবায়নে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা নিরসনে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইওদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

 

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ব্যাংকসহ সব রাষ্ট্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডিরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। মুলত প্যাকেজগুলো বাস্তবায়নে মনিটরিং করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থ মন্ত্রণালয় এ প্যাকেজ বাস্তবায়নে সার্বিক বিষয়টা দেখভাল করবে। এছাড়া এ প্যাকেজ বাস্তবায়নে কোনো বাধা থাকলেও সেগুলো দূর করার চেষ্টা করা হবে।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে শিল্প ঋণের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের ২০ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।  

পাশাপাশি নিম্নআয়ের মানুষ ও কৃষকের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানি উন্নয়ন ফান্ড ১২ হাজার ৫শ কোটি টাকা, প্রিশিপমেন্ট ঋণ পাঁচ হাজার কোটি টাকা, গরিব মানুষের নগদ সহায়তা ৭৬১ কোটি টাকা, অতিরিক্ত ৫০ লাখ পরিবারকে দশ টাকা কেজিতে চাল দেওয়ার জন্য ৮৭৫ কোটি টাকা। এছাড়াও করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যখাতে বাজেটের অতিরিক্ত ৪শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের অধিকাংশ টাকার সংস্থানই হবে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে। এরপরও প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণে সুদ ভুর্তকি বাবদ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক- কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে পাঁচ হাজার কোটি টাকার সংস্থান বাজেট থেকে হবে।  

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকার যেসব প্রণোদনা দিয়েছে তার সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি সার-সংক্ষেপ তৈরি করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর জন্য তৈরি করা সার-সংক্ষেপে প্রণোদনা বাবদ সরকারের ভর্তুকি ও সুদ ব্যয় সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।