ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রণোদনার অর্থ সহজে ছাড়ের দাবি এফবিসিসিআইর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২০
প্রণোদনার অর্থ সহজে ছাড়ের দাবি এফবিসিসিআইর

ঢাকা: করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার যে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে তার অর্থ ব্যাংকগুলোকে সহজে ছাড়ের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)। 

বুধবার (৬ মে) দুপুরে মতিঝিলের এফবিসিসিআই কার্যালয়ে করোনা সংকটে ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা ও ঋণ প্যাকেজ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। এসময় ভার্চুয়াল সংযোগে যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন ব্যাংকের এমডি ও এফবিসিসিআইর নেতারা।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) জন্য ২০ হাজার কোটি এবং বৃহৎ শিল্পের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার। এই প্রণোদনার অর্থ ব্যবসায়ীরা যাতে সহজে পান সেজন্য আমরা ব্যাংকগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি।

‘একই সঙ্গে প্রণোদনা সংক্রান্ত বিধি-বিধানগুলি সহজতর ও সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করে সার্কুলার সংশোধন করতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে এফবিসিসিআই। ’

তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে পাঁচ বিলিয়ন লোক লকডাউন রয়েছে। সারা বিশ্বে এখন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সবাই প্রতিটি ক্ষেত্রেই বড় ধরনের মানবিক দৃষ্টান্ত দেখিয়ে আসছে। তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ফর্মালি কীভাবে এই স্কিমগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি সে বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।  

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমি সব সময় বলে এসেছি কোনো অবস্থাতেই ব্যাংকিং অবস্থার উপর চাপ দিয়ে কোনো সুপারিশ যেন না আসে। কোনো স্টেকহোল্ডারকে চাপে রেখে সামনের দিকে এগোনো আমাদের প্রয়োজন নেই। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।  

‘সব স্টেকহোল্ডার ও গ্রাহক যাতে ন্যূনতম সময়সীমার মধ্যে তহবিল পেতে পারে সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ঋণের জন্য আবেদন,  প্রসেসিং অনুমোদন ও বিতরণ প্রক্রিয়া ন্যূনতম সময়ের মধ্যে সম্পাদন করা বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের বিদ্যমান সাধারণ এসওপি প্রণোদনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়। ’

তিনি বলেন, প্রকল্প নির্ধারণ ও পর্যালোচনা, বিশেষ করে কুটিরশিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে রিস্ক এভার্শন, স্যাটিসফেক্টরি ট্রান্সসেশন অ্যান্ড মিনিমাম রেটিং স্ট্যান্ডার্ড ইত্যাদি একমাত্র ক্রাইটেরিয়া হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত নয়। বরং বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহিতাদের ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করা জরুরি। ’

তিনি বলেন, ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন তদারকির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্পেশাল মনিটরিং ইউনিটকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।  

এই ইউনিটকে প্রয়োজনে পুনর্গঠন করা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এসময় একাধিক ব্যাংকের এমডিরা জানান, ব্যাংকে তাদের তারল্য সংকট নেই। তবে রিস্ক কাভারেজের বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। এজন্য এটি বাস্তবায়নে সবার সমন্বয় প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২০
এসএমএকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।