ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে একদিনে ৪৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২০
ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে একদিনে ৪৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি

ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরগুলোর তত্ত্বাবধানে দেশের ৬৪ জেলায় একদিনে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে ৪৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বেশি মূল্যের মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য বিক্রি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য বিক্রিতে প্রতিনিয়ত অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

জেলা ও উপজেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে দেশের ৬৪ জেলায় একদিনে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে ৪৭ কোটি ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ৮শ ৩৯ টাকা মূল্যের মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য বিক্রি হয়েছে।

দেশের প্রান্তিক খামারিরা কুলভ্যান, ভ্যান, পিকআপ, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, অটোভ্যান, বাইসাইকেল,  সিএনজি অটোরিকশা ও ট্রাক ব্যবহার করে ভ্রাম্যমাণ এ বিক্রি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।  

এদিন ভ্রাম্যমাণ এসব বিক্রয় কেন্দ্রে ৪০ কোটি ১৫ লাখ ১৮ হাজার ১শ ১৮ টাকা মূল্যের ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬শ ২২ লিটার দুধ, ১ কোটি ৯ লাখ ৭ হাজার ৯শ ৩২টি ডিম, ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬শ ৫৩টি মুররি ও ৩৬ হাজার ৭শ ৭৭টি টার্কি,  হাঁস ও কবুতর এবং অন্যান্য প্রাণিজ পণ্য বিক্রি করেছেন খামারিরা।

একইদিন ৭ কোটি ২৩ লাখ ৭৯ হাজার ৬শ ৫১ টাকা মূল্যের ৩ লাখ ৯৫ হাজার ২শ ৬২ কেজি রুই, কাতলা, সিলভার কার্প, মৃগেল, শিং, মাগুর, ইলিশ, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, সরপুঁটিসহ অন্যা মাছ বিক্রি করেছেন খামারিরা।  

গত ২২ এপ্রিল দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের চাষি, খামারি এবং উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত মাছ, দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি সুষম সরবরাহ ও বাজারজাত করার উদ্যোগ নিতে সব জেলা-উপজেলায় কর্মরত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। করোনা পরিস্থিতিতে বাজারজাতকরণ সংকটে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উৎপাদক, খামারি ও উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এবং ভোক্তাদের চাহিদা বিবেচনা করে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মে ০৭,২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।